গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কার সঙ্গে জোট হবে- সেটি নির্বাচনের সময় দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, নির্বাচন এখন প্রহসন হয়ে গেছে। নির্বাচনের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলছে।
জিএম কাদের বলেন, সরকারি দলের নেতারা বলে বেড়ান নারায়ণগঞ্জে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদের ভোট কেমন হয়েছে- তা বলতে চান না। বিয়য়টি এমন হয়েছে, সরকার চাইলে ভোট সুষ্ঠু হবে আর না চাইলে হবে না- এটা হতে পারে না।
বুধবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তিনটি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
সভায় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে বিশ্বাস করে না। ১৯৯১ সালের পর থেকে দল দুটি বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে সুবিধামতো সংবিধান কাটাকাটি করে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। এখন কেউ গণতন্ত্রের কথা বললে মানুষ প্রতারণা মনে করে। ১৯৯১ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর বিএনপি এসে দেশের আরও ক্ষতি করেছে। বিএনপির পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে রাজনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ করেছে। এভাবেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। এ কারণেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থায় অনেকটাই গণতন্ত্র ছিল। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে যা চলছে তাকে কোনোভাবেই গণতন্ত্র বলা যায় না। এখন কর্তৃত্ববাদী শাসনে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, এখন কিছু সংখ্যক মানুষ দ্রুতবেগে ধনী থেকে আরও ধনী হচ্ছে। আর দেশের বেশিরভাগ মানুষই প্রতিদিন আরও গরিব হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই এখন আর নৌকায় ভোট দেয় না। আবার বিএনপির রাজনীতি অনেকটাই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মর্যাদাসম্পন্ন নেতাকর্মীরাই এখন দলে দলে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছে। অনেকেই যোগাযোগ রাখছে, তারাও জাতীয় পার্টিতে যোগ দেবে। দেশের মানুষ এখন জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। তারা জাতীয় পার্টিকে আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।
তিনি বলেন, দুটি দলের সর্বোচ্চ অপপ্রচারও পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দেশের মানুষের অন্তর থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। পল্লীবন্ধু এখনো গণমানুষের হৃদয়ে চিরঞ্জীব হয়ে আছেন। যারা ঈর্ষা করে পল্লীবন্ধুকে গালাগাল দিচ্ছে, অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা কখনোই সফল হবে না।
এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দলে আরও গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় মানুষ যোগ দেবে। আাগমী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণের রাজনীতি নিয়ে জাতীয় পার্টি গণমানুষের আস্থা অর্জন করবে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে একবুক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে, আমরা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতেই রাজনীতি করছি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, ফখরুল আহসান শাহজাদা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, নুরুল হক নুরু, আক্তার দেওয়ান, এমএ সুবহান, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শেখ মাশুক রহমান, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য মনিরুজ্জামান টিটু, ঝুটন দত্ত, রেজাউল ইসলাম, সাহিন আরা সুলতানা রিমা, দক্ষিণের নেতা জাকির হোসেন, কফিল উদ্দিন, মো. আব্দুল কাজী, মো. তারা মিয়া, মো. সোহেল রানা, মো. শাহজাহান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।