পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ ‘শান্তি মিছিলের’ নামে দেশের মানুষের সঙ্গে প্রহসন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দেশে শান্তির মিছিল হচ্ছে, কিসের শান্তি? এই শান্তি সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় মৃত্যুর পরে কবরে গেলে। দেশের মানুষ কবরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় না। বর্তমান সরকার অত্যন্ত কর্তৃত্ববাদী। সবকিছু তারা নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। গতকাল সোমবার এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জাতীয় মহিলা পার্টি।
জিএম কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে মানুষের মাঝে আর শান্তি নেই। মানুষের আয় বাড়ছে না, কিন্তু ব্যয় বেড়েই চলেছে। মানুষের সম্মান, সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা নেই। উৎকণ্ঠার মধ্যে দেশের মানুষ জীবন কাটাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা মানুষের কাছে প্রহসন মনে হয়। তিনি বলেন, কারো প্রতিবাদ করার শক্তি বা সাহস নেই। এমন শান্তির জন্য আমরা রাজনীতি করি না। আমরা মানুষের সত্যিকারের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য রাজনীতি করছি। আগামী প্রজন্ম যেন সুনাগরিক হিসেবে শান্তিময় পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে। সরকার কি এমন শান্তি ও স্থিতিশীলতা দিতে পারছে? শুধু ক্ষমতায় থাকা, এটা কোনো রাজনীতি হতে পারে না।
জিএম কাদের বলেন, দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী কর্মকাÐ শুরু করেছে। সরকার গেলো (২০২৮ সাল) নির্বাচনের মতো একটি নির্বাচন করতে চাচ্ছে। সেভাবেই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপি এই পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে না, তারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চাচ্ছে। দেশে একটা সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। সামনের দিকে আরো খারাপ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। আমরা দুটি দলের ( আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) মাঝামাঝি অবস্থানে নিজস্বতা নিয়ে রাজনীতি করছি। আমরা দেশের মানুষের সামনে তৃতীয় এবং বিকল্প অপশন সৃষ্টি করেছি।
নতুন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, তিনি মাটি ও মানুষের লোক। আশা করছি, তিনি দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে পারবেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থেকে সকল দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে সমান চোখে দেখবেন এই আশা করছি। বিপদে-আপদে সবার পাশে দাঁড়াবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের ফলাফল যাই হোক, আমরা আবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। দেশ স্বাধীন হয়েছে দেশের মানুষের জন্য একটি দেশ হবে। দেশের প্রজাদের জন্য একটি দেশ হবে। দেশের মালিক জনগণ, তারা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যদি জনগণের ইচ্ছেমত দেশ পরিচালনা ব্যর্থ হয় তাহলে দেশের জনগণ আবার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি পরিবর্তন করবেন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের রক্তের প্রতি সম্মান জানাতে চাই। স্বাধীনতার চেতনা সমুন্নত রাখতেই আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।
জাতীয় মহিলা পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় মহিলা পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমা আখতার, হেনা খান পন্নি প্রমুখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।