পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরীক্ষার ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন বছরের জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অব্যাহতিপ্রাপ্ত দুই শিক্ষক হচ্ছেন- বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন ও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর খান। গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৭ সালের ৩য় বর্ষ ৬ষ্ঠ সেমিস্টার বিএ সম্মান পরীক্ষায় ফলাফলকে ব্যাপকভাবে ব্যবধান রেখে চূড়ান্ত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশ ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন বছরের জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে আপনাকে ( প্রফেসর ড.মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন ও ড.মুহাম্মদ আব্দুস সবুর) বিরত রাখা হলো। উক্ত পরীক্ষার ১ম ও ২য় বার টেবুলেশন সংক্রান্ত সকল বিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে ফেরত দেওয়ার কথাও বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩য় বর্ষ ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের ফলাফল ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ প্রকাশিত হয়। এর টেবুলেটরের দায়িত্বে ছিলেন অভিযুক্ত দুই শিক্ষক। প্রকাশিত ফলাফলে উপস্থিতি, মিডটার্ম এবং কোর্স ফাইনাল এ তিন ধরণের নম্বরের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি দেখা গিয়েছিল। কোথাও আবার মূল নম্বরের থেকেও বেশি দেখানো হয়েছিল। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছিল, কোনো কোর্সে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৫০ নম্বর পর্যন্ত গরমিল হয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর বেলায় প্রকৃত নম্বর থেকে প্রদর্শিত নম্বর কম দেখানো হয়েছিল। তবে কয়েক স্থানে প্রকৃত নম্বর থেকে প্রদর্শিত নম্বর বেশি দেয়া হয়েছিল। এক ছাত্রীর ফলাফলে সবচেয়ে বড় অসঙ্গতি দেখা গিয়েছিল। চার কোর্সে তাকে মোট ২৮ দশমিক ৫০ নম্বর কম দেয়া হয়েছিল। তার ৩০৫ নম্বর কোর্সে বড় অসঙ্গতি দেখা যায়। তার প্রদর্শিত কোর্স ফাইনাল নম্বর ২৮, পরবর্তীতে তিনি সে কোর্সে ৪১ দশমিক ৫০ নম্বর পান। এখানে তাকে ১৩ দশমিক ৫০ নম্বর কম দেয়া হয়েছিল। এছাড়া ৩০৬, ৩০৭ এবং ৩০৮ নম্বর কোর্সে যথাক্রমে ৩, ৩ দশমিক ৫০ এবং ৮ দশমিক ৫০ নম্বর কম দেয়া হয়। ৩০৮ নাম্বার কোর্সে এক ছাত্র ৪৪ দশমিক ৫০ পান। পরে তার ফলাফল বেড়ে হয় ৪৭ দশমিক ৫০। ৩০৭ নাম্বার কোর্সে ফাইনাল পরীক্ষায় সূর্যসেন হলের শাহিন আলম নামের এক ছাত্র ২৩ পেলেও পুনঃপরীক্ষায় তিনি পান ২৯। ৩০৫ নাম্বার কোর্সে যে শিক্ষার্থী ৪০ দশমিক ৫০ পান তিনি পুনঃপরীক্ষণে পান ৪২ নাম্বার। তবে প্রদর্শিত নাম্বার ছাড়াও পুনঃপরীক্ষণের ফলে অনেকেই বিভিন্ন কোর্সে কম নম্বরও পেয়েছিলেন। এর মধ্যে এক শিক্ষার্থীর ৩০৭ নম্বর কোর্সে প্রদর্শিত নম্বর ৪২ কিন্তু তার প্রকৃত নম্বর ৩১ দশমিক ৫০। এখানে ১০ দশমিক ৫০ নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল।
তাদের টেবুলেটিংকৃত এ ফলাফলে সর্বমোট ১১ জন শিক্ষার্থীর চারটি কোর্সের ৩২টি স্থানে প্রাপ্ত নম্বর কমবেশী করার প্রমাণ মেলে। ডিবির সাব কমিটির নির্দেশক্রমে ৩০ আগস্ট ২০১৮ তারিখে সংশোধিত পুনঃ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পুনঃ প্রকাশিত ফলাফলে ৭ জনের জিপিএ ও সিজিপিএ পরিবর্তন ও দুই জনের মার্কশিট সংশোধন পুর্বক ফলাফল ঘোষিত হয়।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।