Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিদেশি সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হিন্দুত্ববাদীদের

কাশ্মীরের ‘স্বাধীনতা’ নিয়ে পোস্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

শনিবার ভারতের গুজরাট রাজ্যে শত শত হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিক্ষোভকারী মিছিল করেছে। অধিকৃত কাশ্মীরকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কারণে তারা বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির মালিকানাধীন স্টোর বন্ধ করার প্ররোচনা দিয়েছে।

হুন্ডাই মোটর, কিয়া মোটরস এবং ফাস্ট ফুড চেইন ডমিনো’স পিজা, ইয়াম ব্র্যান্ড ইনক-এর পিজ্জা হাট এবং কেএফসি সহ বিভিন্ন বিদেশী সংস্থার পাকিস্তানি শাখাগুলোল গত সপ্তাহে বার্তাগুলি পোস্ট করেছে, যারা ভারতেও ব্যবসা করে। তারা গত ৫ ফেব্রুয়ারী পাকিস্তানের কাশ্মীর সংহতি দিবস উপলক্ষে সংহতি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পেজে পোস্টগুলো করেছিল। স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামরত কাশ্মীরিদের আত্মত্যাগের স্মরণে প্রতিবছর এই দিবসটি পালিত হয়। তাদের পোস্ট ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল।
‘এই সংস্থাগুলো ভারতে ব্যবসা করতে পারে না এবং একই সাথে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানকে সমর্থন করতে পারে না,’ হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এর জাতীয় কোষাধ্যক্ষ দীনেশ নাভাদিয়া সুরাট শহরে একটি বিক্ষোভের সময় রয়টার্সকে বলেছেন। ‘কাশ্মীর আমাদের’ এর মতো সেøাগান দিয়ে এবং গেরুয়া স্কার্ফ পরে, আরেকটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী বজরং দলের ১০০ জনেরও বেশি সদস্যও বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন।

কয়েক দিন আগেই এই নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল সংস্থাগুলো। করতে হয়েছিল দুঃখপ্রকাশ। কিন্তু তারপরও এদিন ফের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাদের। বিভিন্ন শোরুম ও রেস্তরাঁর বাইরে দেখা মিলল ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীর। আহমেদাবাদের সভাপতি জ্বলিত মেহতা হুমকি দিয়েছেন, তিনটি সংস্থাকেই ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে এই ধরনের বিক্ষোভ চলতেই থাকবে। আবারও সংস্থাগুলির শোরুম কিংবা রেস্তরাঁর সামনে তারা প্রতিবাদ জানাতে শামিল হয়ে যাবেন।

৫ ফেব্রুয়ারি দিনটি পাকিস্তানে ‘সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে। ওই দিনই পাকিস্তানের কেএফসির তরফে একটি পোস্ট করা হয়। তাতে লেখা হয়, ‘আমরা কাশ্মীরের সংহতি দিবসে তাদের স্বাধীনতার অধিকারের দাবিকে অনুভব করে তাদের পাশেই দাঁড়াচ্ছি।’ এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক। কিন্তু সেখানেই না থেমে পরের দিন আরও একটি পোস্ট করা হয়। তাতে কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে লেখা হয়, ‘কাশ্মীর কাশ্মীরিদেরই।’ একই ভাবে কেআইএ মোটর্স, অ্যাটলাস হন্ডা লিমিটেডের তরফেও একই ধরনের বার্তা শেয়ার করা হয়। উল্লেখ্য, কেবল এই তিন সংস্থাই নয়, পিৎজা হাট, ওসাকা ব্যাটারিজ, বস ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো সংস্থাগুলোকেও দেখা যায় এমন পোস্ট শেয়ার করতে। এরপরই মাথাচাড়া দেয় বিতর্ক।

যদিও ইতিমধ্যেই হিন্দুত্ববাদীদের চাপের মুখে পড়ে ক্ষমা চাইতে দেখা গিয়েছে কেএফসি ও হুন্ডাইকে। কেএফসি জানিয়েছে, ‘দেশের বাইরে কেএফসির কোনও সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল থেকে করা পোস্টটির জন্য আমরা গভীর ভাবে ক্ষমা চাইছি। আমরা ভারতকে সম্মান করি এবং গর্বের সঙ্গে সমস্ত ভারতীয়র সেবা করতে দায়বদ্ধ।’ হুন্ডাইও দুঃখপ্রকাশ করে। কিন্তু এরপরও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সংস্থাগুলোকে। সূত্র : ডন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ