Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমেরিকাকে কড়া বার্তা ভারতের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৮ পিএম

ফের আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকার ও তার দল বিজেপি। ফরাসি ফুটবলার পল পোগবা, নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইর পরে এ বার কর্নাটকে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে কর্নাটক সরকার ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির আচরণের সমালোচনা করল আমেরিকার প্রশাসন। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তি আড়াল করতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিয়ে বিতর্কে মুখ খুলে জো বাইডেন প্রশাসন মন্তব্য করে, ‘‘স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে। মহিলাদের কলঙ্কিত করেছে ওই পদক্ষেপ।’’ এর পরেই শনিবার আমেরিকাকে কড়া বার্তা দেয় ভারত সরকার। তবে সেই বার্তায় আমেরিকার নাম, মুসলিম শিক্ষার্থী বা হিজাব-বিতর্কের উল্লেখ করা হয়নি।

আমেরিকা তথা আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়াকে যে ভারত ভাল ভাবে নেয়নি, তা বুঝিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তরফে শনিবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য কাঙ্ক্ষিত নয়।’’ কর্নাটকের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘ড্রেস কোড’ সংক্রান্ত বিষয়টি এখন সে রাজ্যের হাই কোর্টের বিবেচনাধীন বলেও জানানো হয়েছে সরকারের ওই বিবৃতিতে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী টুইটারে সরকারি ওই বিবৃতিটি পোস্ট করতে গিয়েও ‘হিজাব’ প্রসঙ্গের উল্লেখ করেননি। টুইটারে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিবৃতিটি পোস্ট করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘কর্নাটকের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ড্রেস কোড নিয়ে কিছু দেশের মন্তব্য সম্পর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর।’’

পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জারি করা বিবৃতিটিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘আমাদের সাংবিধানিক কাঠামো এবং প্রক্রিয়া, সেই সঙ্গে আমাদের গণতান্ত্রিক ও রাষ্ট্রনীতির আদর্শ হল, সমস্যাগুলি বিবেচনা করা এবং তার সমাধান করা। যারা ভারতকে ভাল ভাবে চেনেন, তারা এই বাস্তবতা যথাযথ ভাবে উপলব্ধি করবেন।’’

গত বছর কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে রিহানা-গ্রেটা থুনবার্গরা টুইটারে সমালোচনা করার পরে কেন্দ্রের মোদী সরকার ও বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি আসরে নামানো হয় বিজেপি-ঘনিষ্ঠ চিত্রতারকা, অভিনেতা, গায়ক-গায়িকা-সহ অনেককেই। সমাজমাধ্যমে একই বার্তা সকলে মিলে পরপর পোস্ট করে ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে’ মন্তব্য না করার আবেদন জানিয়েছিলেন। তা নিয়ে বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়।

এ বারেও মোদী সরকারের হয়ে অনেকে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করলেও এ নিয়ে আসরে নামে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এই বিবৃতি নিয়েও অনেকে সমালোচনা করেছেন। সমাজমাধ্যমে তাদের বার্তা, হিজাব-বিতর্ক এখন আর শুধুমাত্র কোনও দেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ নেই, এটি মানবাধিকার এবং শিক্ষার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। সেই কারণেই একে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। সূত্র: টাইমস নাউ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ