মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে মায়ের সহায়তায় আপন বোনের শিরশ্চ্ছেদ করেছে এক কিশোর। হত্যার পর বোনের কাটা মাথা প্রতিবেশীদের সামনে ওই কিশোর ঝুলিয়ে রাখে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৫ ডিসেম্বর) ভারতের মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গবাদ জেলায় ১৯ বছর বয়সী বোনকে হত্যার এই ঘটনা ঘটে।
ইতিমধ্যে পুলিশ আওরঙ্গবাদ জেলার ভাইজাপুর এলাকার চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
মা এবং ভাইয়ের হাতে ওই তরুণী নিহত হওয়ার সময় তার স্বামী বাড়িতেই ছিলেন। প্রতিবেশীরা বলেছেন, ওই তরুণীর স্বামীকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল কিশোর। তবে তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
মহারাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, গর্ভবতী বোনকে হত্যার পর তার কাটা মাথা বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখে কিশোর। আত্মসমর্পণের আগে বোনের সেই কাটা মাথা শূন্যে দোলাতে থাকে সে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার তরুণীর নাম কীর্তি থোর। গত জুনে তিনি বাসা থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন। এরপর থেকে স্বামীর সঙ্গেই বসবাস করছিলেন। গত সপ্তাহে তার মা যোগাযোগ করার পর ওই তরুণী তার স্বামীর বাসায় মাকে আসতে বলেন। রোববার ওই তরুণীর ভাইকে নিয়ে তাদের বাসায় বেড়াতে আসেন মা।
রোববার যখন তারা বাড়িতে পৌঁছান, তখন কীর্তির স্বামী অন্য এক কক্ষে ছিলেন। মা এবং ভাইয়ের জন্য চা বানানোর সময় পেছন দিক থেকে আক্রান্ত হন কীর্তি থোর। ওই সময় তার মা পা দিয়ে জড়িয়ে ধরেন এবং কাস্তে দিয়ে কীর্তির মাথা কেটে ফেলে তার ভাই।
প্রতিবেশীদের দেখানোর জন্য কাটা মাথা নিয়ে বাড়ির বাইরে যায় ওই কিশোর। পরে সেখান থেকে বীরগাঁও পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত কিশোর।
মহারাষ্ট্রের ভাইজাপুর এলাকার জেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা কৈলাশ প্রজাপতি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে মেয়ে কীর্তির বাড়ি ঘুরে আসেন মা। পরে রোববার (৫ ডিসেম্বর) ছেলেকে নিয়ে আবারও মেয়ের বাসায় যান তিনি। হত্যাকাণ্ডের শিকার কীর্তির বাড়ি একটি মাঠের পাশে। শাশুড়ির সঙ্গে মাঠেই কাজ করছিলেন তিনি। মা এবং ভাইকে দেখে কাজ বাদ দিয়ে বাসায় যান। দু’জনকে পানি এগিয়ে দিয়ে চা বানাতে রান্নাঘরে চলে যান কীর্তি। এমন সময় তার ভাই পেছন থেকে এসে শিরশ্ছেদ করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, কীর্তির অসুস্থ স্বামী অন্য একটি কক্ষে শুয়ে ছিলেন। বাসন পড়ার শব্দে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় তিনি রান্নাঘরে চলে যান। এ সময় শ্যালক তাকেও হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি পালিয়ে যান। কীর্তির কাটা মাথা হাতে নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে তার ভাই। পরে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে। সূত্র : আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।