মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শরণার্থী পুনর্বাসন আইন অনুযায়ী, সরকার কোনো শরণার্থীকে এমন কোনো স্থানে পাঠাতে পারে না; যেখান তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে। শরণার্থীদের মর্যাদা সম্পর্কিত ১৯৫১ সালের কনভেনশন চুক্তি অনুযায়ী, উক্ত আইনটি সব দেশের জন্য পালন করা বাধ্যতামূলক।
মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার সাবেক হাইকমিশনার মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো যাবে না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
যদিও বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। অপরদিকে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এম খায়রুজ্জামান জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করায় বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব না। এটা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর ।
ইউএনএইচসিআর এর এক বিবৃতির বরাত দিয়ে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় গণমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের খবরে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ইউএনসিএইচআর দেশটির সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জানিয়েছে, মালয়েশিয়া সরকার তাকে তাদের মূল দেশে ফেরত পাঠাতে পারে না। কারণ এতে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হবে।
এম খায়রুজ্জামান (৬৫) ২০০৯ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে একজন ইউএনএইচসিআর কার্ডধারী। গত বুধবার একটি অজ্ঞাত এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি তাকে আমপাং-এ তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়৷
২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন। দুই বছর পর, সরকার পরিবর্তন হলে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু তিনি দেশে ফিরে আসতে অস্বীকার করেন এবং তখন থেকেই মালয়েশিয়ায় নির্বাসনে রয়েছেন।
খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকায় ১৯৭৫ সালের জেল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা তাঁকে অভিযোগের মুখোমুখি করা উচিত বলে মনে করেন।
অপরদিকে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য খায়রুজ্জামানের আবেদন ত্বরান্বিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করার জন্য মালয়েশিয়াকে অনুরোধ করেছে; যাতে তিনি সেখানে অবস্থানরত তার স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে যোগদান করতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।