পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান। শাহরিয়ার আলম জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতারের বিষয়ে মালয়েশিয়া আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। তাকে ইমিগ্রেশন আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জেল হত্যা মামলা থেকে এম খায়রুজ্জামান খালাস পেয়েছিলেন। তবে কীভাবে খালাস পেয়েছিলেন, সেটা বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি সেখানে হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। প্রতিমন্ত্রী জানান, কোনো দেশে বাংলাদেশের কেউ ইমিগ্রেশন আইন ভঙ্গ করলে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা করা হয়। সেই দেশও তাকে ফিরিয়ে দেয়। এম খায়রুজ্জামানকেও খুব দ্রুত ফিরিয়ে আনা হবে।
এদিকে এম খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতারের বিষয়ে সাংবাদিকদের মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদ্দিন জানিয়েছেন, প্রক্রিয়া অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধ সংঘটনের দায়ে এবং বাংলাদেশের অনুরোধের কারণেই তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে বুধবার দেশটির আম্পান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এম খায়রুজ্জামান সেনাবাহিনীর একজন অবসর প্রাপ্ত মেজর। তার বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলা ছিল। তবে সেই মামলা থেকে খালাস পান তিনি।
তিমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তাকে ওই পদ বাতিল করে, দেশে ফিরতে বলা হয়। তবে তিনি দেশে না ফিরে সেখানে শরণার্থী হিসেবে ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পর তিনি পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হন। এরপর তিনি মিশর ও ফিলিপাইনের বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে অবসরে পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
তবে ২০০৩ সালে তিনি আদালতের জামিনে মুক্তি পান। ২০০৫ সালে তিনি মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।