Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আজ বৈঠকে বসছেন বাইডেন-পুতিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:৩৬ এএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে বসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়া সোমবার বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিল, জবাবে আমরা বলেছি শনিবারই এই বৈঠক হতে পারে এবং রাশিয়া আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।’

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা।
১৯৪৯ সালে গঠিত ন্যাটোকে রাশিয়া বরাবরই পাশ্চাত্য শক্তিসমূহের আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে মনে করে; এবং ঐতিহাসিকভাবেই বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়া পাশ্চাত্য আধিপিত্যবাদের বিরোধী।
একসময়ের সোভিয়েত অঙ্গরাষ্ট্র ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ রুশ বংশোদ্ভুত। দেশটিতে রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীও বেশ সক্রিয়।
গত ডিসেম্বর থেকে ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে প্রায় ১ লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। সম্প্রতি জানা গেছে, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করা ক্রিমিয়া দ্বীপের বিভিন্ন এলকায়ও সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে দেশটি।
এদিকে, সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের পর থেকেই এ বিষয়ে ব্যাপকভাবে সরব হয়ে উঠেছে ন্যাটোর নেতৃত্বদানকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রায় প্রতিদিনই বলছেন- রাশিয়া যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা করতে পারে।
যদি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করে, সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও রুশ সরকারকে কঠিন মূল্য দিতে হবে বলে বার বার হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন বাইডেন।
মস্কো যদিও বলেছে, ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই- কিন্তু তাতে একেবারেই আস্থা রাখতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। তবে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ- সব পক্ষই একমত যে এই সংকটের সুরাহা এখনও কূটনৈতিকভাবে হওয়া সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ