মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সউদী আরবের আভা বিমানবন্দরে হামলাচেষ্টার সময় বিস্ফোরক-বোঝাই একটি ড্রোন ধ্বংস করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় ছিটকে আসা ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। আহতদের মধ্যে সউদী দুই নাগরিকসহ বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছেন।
এক বিবৃতিতে সউদী জোট জানিয়েছে, যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতের পর বিমানবন্দরটিতে ফ্লাইট চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে সীমান্তবর্তী এলাকাটিতে ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীরা প্রায়ই হামলা চালিয়ে থাকে। সেগুলোর বেশিরভাগই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগে ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও গত কয়েক বছরে এ ধরনের ঘটনায় অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন।
সউদী জোটও প্রায় প্রতিনিয়ত ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হুথিদের নজিরবিহীন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই ভারতীয় এবং এক পাকিস্তানির প্রাণহানির পর ইয়েমেনে হুথিদের ব্যোলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এলাকা ধ্বংস করে দেয় আমিরাত।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সউদী-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সউদী আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সউদী নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
কিন্তু এই অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।
ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সউদী-ইরানের ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়। টানা গৃহযুদ্ধ ও সংঘাত চলার ফলে প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এবং এক সময়ের স্বচ্ছল এই দেশ। জাতিসংঘ বলছে, ইয়েমেনের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের গুরুতর সংকটে ভুগছেন। সূত্র : আল জাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।