পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গতকাল বলেছেন যে, আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুরো মিশন একটি ‘মিথ্যা ভিত্তির’ ওপর করা হয়েছিল যার কারণে এটি কখনই সফল হবে না। চীনের নিউজ আউটলেট গুয়াঞ্চার সাথে দেয়া একটি সাক্ষাতকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইমরান খান বলেন, ‘৯/১১ হামলার পরে আফগানিস্তান আক্রমণের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিষয়ে ভালো করে জানার চেষ্টা করেনি। ‘তারা যদি আফগানিস্তান সম্পর্কে অধ্যয়ন করত, তবে তারা যেভাবে সব কাজ করেছে, সেভাবে কখনোই তা করতো না’-তিনি যোগ করেছেন। ইমরান খান জানান, তিনি প্রথম দিন থেকেই বলে আসছিলেন যে, আমেরিকা আফগানিস্তান সমস্যার সামরিক সমাধান খুঁজে পাবে না, কিন্তু তারা কখনোই শোনেনি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে কী অর্জন করতে চায় সে বিষয়েও স্পষ্ট নয়। ‘তারা কি গণতন্ত্র বা জাতি গঠনের জন্য আফগানিস্তানে ছিল? নাকি তারা আফগান নারীদের মুক্ত করতে চেয়েছিল?’ তিনি প্রশ্ন করেন।
প্রধানমন্ত্রী খান বলেন, ‘একবার ওসামা বিন লাদেনকে গুলি করে হত্যা করা হলে আফগানিস্তানে মিশন শেষ হওয়া উচিত ছিল। আক্রমণের প্রথম দুই বছরে আল-কায়েদা শেষ হয়ে গিয়েছিল, তারপরে মার্কিন বাহিনী এতদিন সেখানে কী করেছে?’ ‘আমেরিকানরা নিজেদের জানত না,’ ইমরান কটাক্ষ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, যুক্তরাষ্ট্র আফগান জনগণকে বুঝতে পারেনি। ‘তারা কখনই বিদেশীদের শাসন মেনে নেয় না,’ তিনি বলেন, জনগণ যদি শাসিত হতে না চায় তাহলে কেউ তাদের শাসন করতে পারবে না। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেশে ‘কোন সংঘাত’ হয়নি।
‘কিন্তু এখন সমস্যা হল, মার্কিনিরা তালেবান সরকার এবং আফগান জনগণের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না যার ফলে একটি বিশাল মানবিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে,’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান। তার মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ফলে আফগানিস্তানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে এবং তালেবান সরকার দুর্বল হয়ে পড়লে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো আবার একটি লঞ্চিং প্যাড খুঁজে পাবে। এমনকি মার্কিন উপস্থিতির সময়ও, আফগানিস্তানের জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছিল, তিনি বলেন, প্রত্যেকের, বিশেষ করে ইউরোপীয়দের, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানো উচিত যে, এটি আফগানিস্তানের সাথে মোকাবিলা করার উপায় নয়।
ইমরান খান চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) সম্পর্কেও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই ‘সিপিইসি এবং গোয়াদর বন্দর সম্পর্কে সন্দেহ ছিল’। ‘আমাদের ঝোঁক এখন ভ‚-অর্থনীতির দিকে,’ তিনি সিপিইসিকে দেশের জন্য একটি বড় সুযোগ বলে অভিহিত করে বলেন। ‘এটি এমনকি একটি একচেটিয়া প্রকল্পও নয়, সবাইকে এতে যোগ দিতে স্বাগত জানাই,’ তিনি যোগ করেছেন।
ভারত সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীরই একমাত্র ইস্যু। ‘ক্ষমতায় আসার পর, আমার প্রথম অগ্রাধিকার ছিল ভারতের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা,’ বিজেপি সরকারকে তার মুসলিম বিরোধী অবস্থান পরিবর্তনের জন্য আহŸান জানিয়ে ইমরান বলেছেন। সংখ্যালঘুদের প্রতি, বিশেষ করে মুসলমানদের প্রতি বিজেপির নীতি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের নীতি পাকিস্তান ও চীনের চেয়ে ভারতের মানুষকে অনেক বেশি আঘাত করবে।’ সূত্র : ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।