চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : আমরা এলাকার কয়েকজন যুবক মিলে একটি সামাজিক সংগঠন করেছি। এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকি। সে ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপের জন্য আমরা চাঁদা তুলে থাকি। এখন প্রশ্ন হলো এসব পূজার জন্য চাঁদা উঠানো, চাঁদা দেয়া বা এ কাজে সহযোগিতা করা আমাদের জন্য ঠিক হচ্ছে কি না?
উত্তর : আপনারা কয়েকজন যুবকের সবাই কি মুসলিম? যদি মুসলিম হয়ে থাকেন, তাহলে পূজার জন্য চাঁদা তোলা ও এসব মণ্ডপে দেয়া জায়েজ হবে না। যদি অমুসলিমও থেকে থাকে, তা হলে শুধু তারা এ কাজ করতে পারে। তবে শর্ত হলো, কোনো মুসলমান পূজার চাঁদা দিতে পারবে না। চাঁদাদাতাও হিন্দু হতে হবে। অবশ্য পূজা অর্চনা ছাড়া অন্য কারণে অমুসলিমদেরকেও সাধারণ দান বা সহযোগিতা করা যায়। মানবিক ও সামাজিক পর্যায়ে, ধর্মীয় পর্যায়ে নয়। কারণ, এতে ইসলামে নিষিদ্ধ শিরকের সাথে নিজেকে যুক্ত করা হয়।
প্রশ্ন : শুনেছি বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্যের ভেতর নাকি প্রাণীর চর্বি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। উপাদান লিস্ট না থাকায় আমারা বুঝতে পারি না প্রাণীটি কি হালাল না হারাম। কী করব?
উত্তর : সাবান, জেলি, লিপস্টিকসহ বহু প্রসাধনীতেই অনেক সময় পশুর চর্বি ব্যবহৃত হয়। উৎপাদন উপকরণের তালিকা থাকলে দেখে সাবধান হওয়া যায়। তালিকা না থাকলে মানুষ সন্দেহে পড়ে। এক্ষেত্রে যারা জানেন, তাদের পরামর্শ নেয়া জরুরি। সুতরাং শূকর বা অন্য হারাম প্রাণীর চর্বি থাকার সম্ভাবনা আছে এমন দেশের প্রসাধনী বা চকলেট এড়িয়ে চলাই কর্তব্য। তালিকা থাকলে সেটা আলাদা কথা। যেসব মুসলিম দেশ হারাম ফ্রি, এলকোহল ফ্রি, পর্ক ফ্রি পণ্য তৈরি করে খুঁজে খুঁজে সেসব দেশের পণ্য ব্যবহার করতে হবে। অবশ্য নিশ্চিত না হলে কেবল সন্দেহ থেকে কোনো বস্তুকে হারাম বলে দেয়া ঠিক নয়। শরিয়ত সবকিছুতেই সন্দেহ প্রবণতা নিরুৎসাহিত করে। তবে উচ্চ সতর্কতা
প্রশ্ন : আমি হিজাব করি। কলেজে আসা-যাওয়ার জন্য বাস/ম্যাক্সি ব্যবহার করি। প্রায় প্রতিদিনই কিছু অসভ্য লোক বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে। আমি আল্লাহর কাছে এর প্রতিকার চাই। এদের কী বিচার হবে?
উত্তর : হিজাব পরেন শুনে খুশি হলাম। এটি আল্লাহর ফরজ হুকুম। যেহেতু কলেজে আসা-যাওয়া করতেই হয়, চেষ্টা করবেন কোনো মহিলা বা শিশুর পাশে বসতে। কমপক্ষে সুন্নতি লেবাস পরা ব্যক্তিত্ববান ও বয়সী মানুষের পাশে বসাও ভালো। যারা নারীর সম্মান বোঝে না, তারাই যৌন হয়রানি করে। চলাচলে এদের সাথে বসতেই হয়। যতদূর পারেন নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন। বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে প্রতিবাদ ও হৈ চৈ করবেন। এসব ভবিষ্যত বিপদ বা অনিরাপত্তার কারণ হলে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। আপনার পরিবেশ পরিস্থিতি আপনি বেশি বুঝবেন। আল্লাহর কাছে এসব লোকের শাস্তি বড়ই কঠোর। তাদের শাস্তি ডাবল হবে। এক. ইচ্ছা ও আচরণে ধর্ষণের পাপ। দুই. একজন মানুষকে কষ্ট দেয়ার পাপ। শরিয়তে এ দু’টোই হারাম। আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা ত্রুটিযুক্ত হওয়ায় আপনার ও আপনার মতো লাখো নারীর কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। ইসলামি ব্যবস্থা কার্যকর থাকলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে এসব অসভ্যকে সোজা করে ফেলা হতো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।