বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার শহরের আলোচিত মেহেদী হত্যা মামলায় ৫ আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে নগদ ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করার রায় ঘোষণা হয়েছে।
সেখান থেকে ১০ হাজার টাকা করে সরকারি কোষাগারে জমা হবে। বাকি টাকা ভিকটিমের মা রোজিনা আক্তারকে প্রদানের নির্দেশ দেন বিচারক।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কক্সবাজার শহরের বাহারছরার বাসিন্দা ফরিদ আহামদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক প্রকাশ ওমর ফারুক, আবুল বশরের ছেলে শাহেদ, মধ্যম বাহারছরার তৈয়বুর রহমানের ছেলে সাগর, জহির আহমদের ছেলে মিঠু ও আমির হোসেনের ছেলে ওয়াসিম।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা এসটি ৬১৪/১১, জিআর ২৭৯/১০ শুনানি শেষে বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।
এ সময় দুই আসামি মোহাম্মদ ফারুক ও শাহেদ উপস্থিত ছিলেন। রায়ের দিন থেকে তাদের শাস্তি কার্যকর হবে।
পলাতক থাকা তিন আসামি মিঠু, ওয়াসিম ও সাগর গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের তারিখ থেকে তাদের সাজা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।
ভিকটিম মেহেদি হাসান কক্সবাজার শহরের বাহারছরা আরজু ম্যানসনের বাসিন্দা মরহুম মোহাম্মদ সোলাইমান পেশকারের ছেলে।
২০১০ সালের ২০ এপ্রিল রাত ১০ টার দিকে কক্সবাজার শহরের সার্কিট হাউজ রোডে (বন বিভাগের সামনে) হামলার ঘটনায় মারা যান মেহেদি হাসান।
২২ এপ্রিল সদর থানায় মামলা করেন নিহতের পিতা মোহাম্মদ সোলাইমান। মামলায় ৩০২/৩৪ ধারায় চার্জ গঠন করে আদালত।
সাক্ষ্য, যুক্তিতর্কে অভিযোগ সত্য প্রমাণ হওয়ায় পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন দেন আদালত।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী।
আসামিপক্ষে মোহাম্মদ জাকারিয়া, তৌহিদুল আনোয়ার, আমির হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।