মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্প্রতি ভারতের বিজেপিশাসিত কর্ণাটকে হিজাব পরিহিতা এক ছাত্রী কলেজে প্রবেশ করতেই তাঁর দিকে তেড়ে আসে ছাত্র নামধারী হিন্দু উগ্রবাদীরা। দিতে থাকে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান। কিন্তু ভয় না পেয়ে মুখের উপর 'আল্লাহু আকবার' ধ্বনি দিয়ে ওই ছাত্রী একাই লড়ে যায়। এই ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই সাহসী পদক্ষেপের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রসংশায় ভাসছেন হিজাব পরিহিতা ওই ছাত্রী।
তার প্রসংশা করে নাজিউর রহমান নামে একজন ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে বোনটি। মা শা আল্লাহ! আর এই নিকৃষ্ট জাতিকে আল্লাহ হিদায়াত দান করুক।’ আরেক জন লিখেন, ‘ওদের মোকাবেলায় আমাদের এক বোনই যথেষ্ট, ইনশাআল্লাহ।’
ওই ছাত্রীর জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে তাইহান পাটওয়ারী লিখেছেন, ‘আল্লাহু আকবার, মুসলিমরা এমনই হয়। তাদের ঈমানের শক্তির বলে একাই ১০০০ জনের সামনে দাঁড়াতে সক্ষম। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের প্রিয় বোনকে হেফাজত করুক।’
এই ইস্যুতে ভারতের সমালোচনা করে মহিউদ্দিন লিখেছেন, ‘ভারত পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম অমানবিক, সাম্প্রদায়িক, অগণতান্ত্রিক, বর্ণবাদী রাস্ট্র।’
গত কয়েকদিন আগে ভারতের কর্ণাটকে হিজাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। কিছু কলেজে মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব পরে কলেজে আসতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অপরদিকে কোনো কোনো কলেজে হিন্দু শিক্ষার্থীদের গেরুয়া ওড়না পরে কলেজে আসতে দেখা যায়। ছাত্ররাও গেরুয়া চাদর পরে কলেজে আসছে। এ নিয়ে কোথাও কোথাও উত্তেজনাও সৃষ্টি হয়েছে।
মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করেছেন খোদ ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, ‘শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে হিজাবকে টেনে এনে আমরা ভারতের মেয়েদের ভবিষ্যৎ কেড়ে নিচ্ছি। মা সরস্বতী বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী। তিনি পক্ষপাতিত্ব বা বৈষম্য করেন না।’
ভারতের নারী কল্যাণ ও সমাজ কর্মীদের একাংশও ‘হিজাব নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপটি সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন’ বলে মনে করেন।
পুরো ভারতজুড়ে এই বিতর্ক সৃষ্টির পর কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবার হিজাব পরা ছাত্রীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।