Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বেকারত্ব থেকে সহসাই মুক্তি পাচ্ছে না ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ভারত। চলতি সপ্তাহের বাজেট ঘোষণায় এ পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনা বেশ আকর্ষণীয় হলেও সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সহসাই বেকারত্ব সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটি। খবর বিবিসি। সম্প্রতি কয়েক বছরে ভারতে বেকারত্বের হার অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে গেছে। ভারতের বেকারত্ব নিয়ে গবেষণা করেছেন দুই বিশেষজ্ঞ ক্রেগ জেফরি ও জেন ডাইসন। দেশটির বেকারত্বের ধরন নিয়ে লিখেছেন তারা। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভারতে উত্তর প্রদেশের মিরাটে কয়েকজন শিক্ষার্থী ঠাট্টার ছলে নিজেদের নাম দিয়েছিল ‘নোহয়্যার জেনারেশন’ বা ‘গন্তব্যহীন প্রজন্ম’। বছরের পর বছর ধরে সরকারি চাকরি পাওয়ার চেষ্টায় হতাশ হয়ে পড়েছিল তারা। এ তরুণরা শহুরে জীবন নিয়ে দেখা স্বপ্ন আর নিজেদের গ্রামের বাড়ির বাস্তবতা—দুয়ের মধ্যে আটকে পড়ার কথা জানিয়েছিল। বেকারত্ব যেন তাদের আধুনিক সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল। তারা বলেছিল, আমাদের জীবন এখন শুধুই ‘সময় কাটানোতে’ (টাইমপাস) পরিণত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে আবার আলোচনায় উঠে এসেছে ভারতের কর্মসংস্থান সংকটের পরিধি। বেকার জনগোষ্ঠী নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম ও জনসাধারণ আবারো সরব হয়েছে। এশিয়ায় কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর আধিক্য ভারতে উদীয়মান অর্থনীতির জন্য সুফল আনবে—এমনটিই বলা হয়। কিন্তু নামমাত্র পারিশ্রমিকে কাজ করা লাখো তরুণ—যাদের অনেকেই উচ্চশিক্ষিত—ভারতের মোট কর্মক্ষম জনসংখ্যার আধিক্য বা ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’-এর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। বেকারত্বের সমস্যা ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা উল্লেখজনকভাবে বেড়েছে। বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় গণমাধ্যমে বিষয়টি উঠে এসেছে। কখনো বেকারত্ব নিয়ে তরুণদের ক্ষোভ, আবার কখনো কোনো প্রচারণায় রাজনৈতিক নেতাদের কথার ফুলঝুরি গণমাধ্যমে স্থান পেয়েছে। বেকারত্বের অভিশাপ এবং বেকার যুবকদের সমাজের বিপদ হিসেবে দেখার প্রচলিত ধ্যানধারণা থেকে বেরিয়ে এসে যদি আমরা আরো গভীর কিছু বিষয়ে আলোকপাত করি, তাহলে হয়তো এ প্রশ্নগুলোই মনে জাগবে—এ ভারতীয় তরুণ-যুবারা প্রতিদিন করে কী? তারা সময় কাটায় কীভাবে? সমাজের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কেমন? ভারতকে বদলাতেই বা তারা কী ধরনের ভূমিকা রাখছে? গত ২৫ বছর ধরে ভারতের উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখন্ডের ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী বেকার যুবকদের অভিজ্ঞতা ও কাজ নিয়ে গবেষণা করেছেন জেফরি ও ডাইসন। উত্তর প্রদেশের মিরাট এবং উত্তরাখন্ডের চামোলিতে বেকার যুবকদের সঙ্গে থেকে সময় কাটিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, সামাজিকভাবে তারা চরম দুর্ভোগে আছে। বেকার সম্প্রদায়ের বড় একটি অংশ হতাশাগ্রস্ত। তাদের হাতে অর্থ নেই। তারা পরিবারের চাহিদা মেটাতে পারছে না। অনেক সময় প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় সমাজে তারা হেয় হচ্ছে। চাকরির অভাবে অনেকের বিয়ে হচ্ছে না। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ