Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘বিধানসভাতে আমিও তো হিজাব পরি’ কর্ণাটক সরকারকে চ্যালেঞ্জ বিধায়কের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক থামার নাম নেই। এর আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এভাবে কলেজে ঢুকতে না দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। যদিও বিতর্ক থামাতে নির্দেশিকা জারি করেছে কর্ণাটক সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রি ইউনির্ভাসিটির আওতায় যে সরকারি কলেজগুলি রয়েছে সেখানে কলেজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড যে পোশাক নির্দিষ্ট করেছে সেটাই থাকবে। আর যেখানে এই পোশাক বিধি বলে কিছু নেই, সেখানে শিক্ষার্থীরা এমন পোশাক পরতে পারেন যাতে করে সম্প্রীতি, সমতা ও আইন শৃংখলা বজায় থাকে। তবে এরই মাঝে এবার সরকারকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক কানিজ ফাতিমা দাবি জানালেন যে, ছাত্রীদের হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা যেন না হয়। ফাতিমা দাবি জানান, প্রয়োজনে ইউনিফর্মের রঙের সাথে মিলিয়ে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়া হোক। উল্লেখ্য, হিজাব পরিহিত কিছু মুসলিম মেয়েকে উডুপির একটি সরকারি কলেজে প্রবেশে দেওয়া হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। এরপর থেকে পরপর কলেজে নিষিদ্ধ হয়েছে হিজাব। এর প্রতিবাদে বিধায়ক কানিজ ফাতিমা শনিবার একটি বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেছিলেন যে, তিনিও বিধানসভায় হিজাব পরেন। তিনি চ্যালেঞ্জ করেন যে, সরকার তাকে বাধা দেওয়ার সাহস করে দেখাক। এর আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এভাবে কলেজে ঢুকতে না দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এভাবে দেশের মেয়েদের ভবিষ্যৎ চুরি করা হচ্ছে। এদিকে কর্ণাটক বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করে ভালো হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে তালেবানি চলবে না। এই আবহে শনিবার কর্ণাটক এডুকেশন অ্যাক্টের কথা উল্লেখ করে সরকার জানায়, বাধ্যতামূলকভাবে পোশাকের ক্ষেত্রে একটা সমতা আনতে হবে। ভারতের কর্নাটক রাজ্যে হিজাব পড়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার এবং ক্লাস করতে দেওয়ার দাবিতে মুসলিম কলেজছাত্রীরা যে আন্দোলন শুরু করেছেন, তাতে যোগ দিচ্ছে ছাত্ররাও। এছাড়া এ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে গেরুয়া শাল পরা শিক্ষার্থীরা। কর্নাটকের উপকূলীয় শহর কুন্দাপুরের ভান্ডারকরস আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স ডিগ্রি কলেজের গেটে শনিবার হিজাব পরার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান কিছুসংখ্যক মুসলিম ছাত্রী। কলেজের নিরাপত্তারক্ষীরা হিজাব পরে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এদিকে কুন্দাপুরেই আরেক দল শিক্ষার্থী গেরুয়া শাল পরে বিক্ষোভ করে এবং ‘জয় শ্রী রাম’ স্লােগান দেয়। ঘটনার ভিডিও চিত্রসহ এ খবর জানায় ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম। খবরে বলা হয়, ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কর্নাটক রাজ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে বিতর্কের জেরে রাজ্য সরকার ‘আইন বিঘ্নকারী’ সব পোশাক নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করেছে। শনিবার এক সরকারি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই আদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘সমতা, অখণ্ডতা ও আইনকে বিঘ্নকারী’ যেকোনো পোশাককেই নিষিদ্ধ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘কর্নাটক এডুকেশন অ্যাক্ট-১৯৮৩-এর ১৩৩ (২) ধারা অনুসারে বাধ্যতামূলকভাবে যে কোনো একপ্রকার ইউনিফর্ম পরতে হবে। প্রাইভেট স্কুলের প্রশাসন তাদের পছন্দমতো ইউনিফর্ম বেছে নেবেন।’ এতে আরো বলা হয়, ‘যদি প্রশাসন কোনো ইউনিফর্ম ঠিক করে না দেয়, তবে এমন পোশাক পরা উচিত হবে না যা সমতা, অখণ্ডতা ও আইনশৃংখলাকে বিঘ্ন করে।’ হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি।



 

Show all comments
  • জাকির হুসাইন মাদারীপুরী ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:১৬ এএম says : 0
    সাহসী নারী
    Total Reply(0) Reply
  • Md Parves Hossain ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:১৬ এএম says : 0
    May Allah bless You.
    Total Reply(0) Reply
  • MD Year Ali Sikder ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:১৭ এএম says : 0
    Go ahead sister, Inshallah Allah stay with you.
    Total Reply(0) Reply
  • টুটুল ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:০৪ এএম says : 0
    এই হলো ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ রূপ!!!!!!!!!!!!!!!!!!
    Total Reply(0) Reply
  • কামাল রাহী ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:০৫ এএম says : 0
    এরা আবার বোংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কথা বলে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ