মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের উত্তরপ্রদেশের নদীতে আবারও মরদেহের সারি। তবে এবার মানুষ নয়, গবাদি পশু। অন্তত ১৭টি গরু এবং ২০টি মহিষের দেহ ভাসতে দেখা গেছে কন্নৌজের কাছে কালী এবং গঙ্গার মিলনস্থলে। করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে উত্তরপ্রদেশের গঙ্গায় ভেসে গিয়েছিল মানুষের মরদেহের সারি। সারাবিশ্ব শিউরে উঠেছিল সেই দৃশ্য দেখে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল গঙ্গা এবং তার পাড়ে ভেসে যাওয়া, আটকে থাকা সারি সারি মানুষের লাশ। এবার গঙ্গায় এতগুলো গবাদি পশুর মৃতদেহ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। কন্নৌজের জেলাপ্রশাসক রাকেশ কুমার মিশ্র এ সম্পর্কে বলেন, শুক্রবার ৩৭টি গবাদি পশুর দেহ ভাসতে দেখা গেছে। তার মধ্যে ২০টি মহিষ এবং বাকিগুলো গরু। কন্নৌজ প্রশাসনের দাবি, ওই জেলায় এতগুলো গবাদি পশুর মৃত্যুর কোনো খবর তাদের কাছে নেই। সম্ভবত সেগুলো অন্য কোনো এলাকা থেকে ভেসে এসেছে। পরে গবাদি পশুগুলোর মৃতদেহ পানি থেকে তুলে জেসিবি-র সাহায্যে পুঁতে ফেলা হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রশাসনিক ব্যাখ্যা যা-ই হোক, যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে গরুর মৃতদেহ এভাবে গঙ্গায় ভেসে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি-বিরোধী সবগুলো দল। তাদের অভিযোগ, যে বিজেপির শাসনে গরুর মাংস বাড়িতে রাখার অভিযোগ তুলে মানুষকে পিটিয়ে মারা হয়, যে বিজেপির শাসনে গরু পাচারকারী সন্দেহে মানুষকে হত্যা করা হয়, যে বিজেপি গরু হত্যা নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে বারবার গলাবাজি করে, তাদের আমলেই গঙ্গায় গরুর মৃতদেহ ভাসছে! আর সেই গঙ্গা, যা শুদ্ধ করার দাবি তুলে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে বিজেপির বাঘা বাঘা নেতারা প্রতিদিন গলাবাজি করেন! বিরোধীদের সাফ কথা- গরু এবং গঙ্গা দুই-ই পবিত্র। বিজেপি শাসনে তাদেরই অপবিত্র করা হচ্ছে, দূষিত করা হচ্ছে। বিরোধী নেতাদের অনেকেরই অভিযোগ, কেবল ধর্মীয় জিগির তোলার কারণে রাজ্যের যেখানে সেখানে গোশালা গড়ে তোলা হয়েছে বিজেপি আমলে। কিন্তু না সেখানে গবাদি পশুগুলোকে ঠিক মতো খেতে দেওয়া হয়, না তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়, না যথাযথ চিকিৎসা হয়। ফলে অনেক সময়ই অসুখ লেগে থাকে গোশালাগুলোতে। মারা যায় বহু গরু। সেই সব মৃত্যু আড়াল করতেই গরুগুলোকে এভাবে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠছে। এ ক্ষেত্রেও সে রকমই হয়েছে বলে প্রশাসনের একটি অংশের ধারণা। যদিও তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ যোগী প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে বিরোধীরা ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা এ নিয়ে যোগী প্রশাসনকে ছাড় দেবে না। এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।