নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মঈন আলীর আত্মীয়তার সূত্রেই বাংলাদেশের সঙ্গে বাঁধা। তিনি যে বাংলাদেশের জামাই! মঈন আলীর স্ত্রী ফিরোজা হোসেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। এক সময় সিলেট শহরের পীর মহল্লা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ফিরোজার বাবা এম হোসেন ও তাঁর স্ত্রী। এরপর সপরিবারে ইংল্যান্ডে থিতু হন।
সেখানেই জন্ম ফিরোজার। মঈনের সঙ্গে পরিচয়, বন্ধুত্ব। এরপর বিয়ে। তাঁদের ফুটফুটে ছোট্ট একটা ছেলেও আছে। নাম আবু বকর। বাবা-মায়ের সঙ্গে ফিরোজা এর আগেও বাংলাদেশে এসেছেন। তবে এখন পর্যন্ত স্ত্রীকে নিয়ে সিলেটে আসা হয়নি মঈনের। অবশেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেট খেলার সুবাদে নিজের শ্বশুরবাড়ির শহরে যেতে পেরে রোমাঞ্চিত মঈন।
শনিবার বিপিএলের সিলেট পর্ব খেলতে সেখানে চলে গেছে তার দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। সেই সুবাদেই প্রথমবারের মতো শ্বশুরবাড়ির শহরেও যেতে পারলেন ইংলিশ এই ক্রিকেটার। প্রথমবার সিলেটে গিয়ে আপ্লুত মঈন আলী। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এখন পরিবার পরিজন নিয়ে ইংল্যান্ডেরই স্থায়ী বাসিন্দা।
তার কাছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান কিংবা ইংল্যান্ড নিজের বাড়ির মতো মনে হয়। প্রথমবার শ্বশুরবাড়ির এলাকায় পৌঁছে (আজ) রোববার দুপুরে সিলেটে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে মঈন বলেন, ‘আমার বাংলাদেশও বাড়ি, পাকিস্তানও বাড়ি, ইংল্যান্ডও বাড়ি। আমার কাছে সব একইরকম মনে হয়। আমার শ্বশুরবাড়ির সবাই এখানের। তাদের সবার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি প্রথমবার সিলেটে এলাম। আমার স্ত্রী সবসময় আমাকে বলে, সিলেটে চলো, সিলেটে চলো। কিন্তু সময় বের করতে পারি না।’
তবে কোরানার জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকায় সিলেট শহর ঘুরে দেখা হবে না মঈনের। সেই আক্ষেপ থাকলেও সিলেটে যেতে পেরেই খুশি তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন,‘এবার সিলেটে এসে ভালো লাগছে। এটি দুঃখজনক যে (জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে) বাইরে কোথাও যেতে পারবো না। তবে এখানে এসে খুব আনন্দিত আমি। কারণ আমার পরিবার এখানের। তাই সিলেটে এসে আমি অনেক খুশি।’
এসময় সিলেটি ভাষা শেখার আগ্রহের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু সিলেটি শব্দ জানি। সত্যি বলতে, আরও বেশি শিখতে পারলে ভালো হতো। আমি আরও শেখার চেষ্টা করবো, যেহেতু এখানে এসেছি। হোটেলে ছেলেরা আমার সঙ্গে সিলেটি ভাষায় কথা বলে। তাই আমাকে আরও সিলেটি শব্দ শিখতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।