মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যে হিমবাহ গড়ে উঠতে কয়েক হাজার বছর সময় লেগেছিল, জলবায়ুর পরিবর্তনের জেরে এখন সেই হিমবাহের বরফই দ্রুত গতিতে গলতে শুরু করেছে। বিশ্বের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট লাগোয়া হিমবাহের চরিত্র পর্যবেক্ষণ করে সামনে এসেছে এই তথ্য। বিশেষজ্ঞদের দাবি, গত তিন দশকে এই এলাকায় হিমবাহ ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। তার একমাত্র কারণ হিমবাহে সঞ্চিত বরফের মাত্রাতিরিক্ত গলন।
গবেষকদের হাতে আসা তথ্য বলছে, ইতিমধ্যেই 'সাউথ কল'(South Col)-এর প্রায় ৫৫ মিটার (১৮০ ফুট) জমাট বরফ গলে গিয়েছে। এই ঘটনা ঘটতে মাত্র ২৫ বছর সময় লেগেছে। অন্তত এমনটাই দাবি করেছেন মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Maine) গবেষকরা। তাদের তৈরি গবেষণাপত্র চলতি সপ্তাহেই প্রকাশ করেছে বিশ্ববিখ্যাত নেচার (Nature) পত্রিকা। অন্যান্য প্রাকৃতিক সামগ্রীর মতো হিমবাহের বয়স জানতেও কার্বন ডেটিং পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়।
তাতে দেখা যাচ্ছে, এভারেস্টের একেবারে কাছেই যে হিমবাহ রয়েছে, তার একদম উপরের স্তরের বরফের বয়স মাত্র ২ হাজার বছর। অর্থাৎ, এই হিমবাহ গড়ে উঠতে যত সময় লেগেছিল, তার থেকে অন্তত ৮০ গুণ দ্রুত গতিতে সেটি গলে যাচ্ছে! যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এই হারে হিমবাহের গলন অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে সাউথ কলের আর কোনও চিহ্নই থাকবে না! পরিস্থিতির এই পরিবর্তনকে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
সমুদ্র সমতল থেকে সাউথ কলের হিমবাহের উচ্চতা প্রায় ৭ হাজার ৯০০ মিটার (২৬ হাজার ফুট)। মাউন্ট এভারেস্টের মাত্র ১ কিলোমিটার নীচেই এর অবস্থান। একটি বিষয়ে বিজ্ঞানীরা সকলেই সহমত যে সুপ্রাচীন এই পর্বতের বরফ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে গলে যাচ্ছে। এবং এই প্রক্রিয়া গোটা হিমালয়ের জন্যই প্রযোজ্য।
র ফলে হিমালয়ের পাদদেশের নিচু এলাকাগুলিতে নতুন নতুন হ্রদ ও জলাশয় তৈরি হচ্ছে। আর তাতেই উদ্বেগ বাড়ছে পরিবেশবিদ এবং গবেষকদের। কারণ, যেকোনও সময় এই বরফ গলা জল প্রবল বেগে হিমালয়ের পাদদেশকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা ভাবতেই শিউরে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের আশঙ্কা, এমন ঘটনা ঘটলে বহু মানুষকে জীবন দিয়ে তার খেসারত দিতে হবে।
১৯৯৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ২৫ বার মাউন্ট এভারেস্টে উঠেছেন নেপালের বাসিন্দা কামি রিতা শেরপা। খুব কাছ থেকে হিমালয়কে বদলে যেতে দেখেছেন তিনি। যা প্রতি মুহূর্তে তাকে কষ্ট দেয়। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আগে যেখানে বরফের মোটা স্তর জমাট হয়ে থাকত, এখন সেখানেই আমরা পাথর দেখতে পাই! শুধুমাত্র এভারেস্ট নয়, হিমালয়ের সবক'টি চূড়ারই একই অবস্থা। সব জায়গা থেকেই লাগাতার বরফ গলে যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।" সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।