পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইউক্রেনে হামলার অজুহাতে রাশিয়া নাটক সাজাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে ননসেন্স অ্যাখা দিয়েছে মস্কো। এর কোনও ভিত্তি নেই বলে শুক্রবার মন্তব্য করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এর আগে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের দাবি করে, তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে রাশিয়া এমন গ্রাফিক ভিডিও তৈরি করেছে যেখানে তুর্কি ড্রোন, নকল ইউক্রেনীয় সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েনসহ রুশ ভাষাভাষী মানুষ শোকের অভিনয় করছে। মার্কিন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এমএএনবিসি) টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা নিশ্চিত নয় যে রাশিয়া ওই পথটি গ্রহণ করছে কিনা, কিন্তু আমরা জানি এটি বিবেচনায় রেখেছে তারা। তিনি আরও যোগ করেন, ওই নিখুঁত ভিডিও তারা তৈরি করেছেন যারা মিথ্যা হামলায় মারা যাওয়ার অভিনয় করবেন। আর এ বিষয়টি বিশ্বের কাছে সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার অজুহাত পেয়ে যাবে ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের অভিযোগকে সম্পূর্ণ বানায়োট বলে উড়িয়ে দিলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখের কাছাকাছি রুশ সেনা অবস্থানের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার চরম সামরিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আরেক খবরে বলা হয়, রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় ও বাল্টিক নৌবহরের কয়েকটি উভচর যুদ্ধজাহাজ সিরিয়ার তারতুস বন্দরে নোঙ্গর করেছে। ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সাথে যখন রাশিয়ার উত্তেজনা চলছে তখন রুশ নৌবহরটি সিরিয়ার বন্দরে পৌঁছাল। দৃশ্যত পশ্চিমা দেশগুলোর সমর প্রস্তুতির মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক পানিসীমায় নিজের শক্তিমত্তা প্রদর্শনে উদ্দেশে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজগুলোকে ভূমধ্যসাগরে পাঠানো হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়ে বলেছে, বর্তমানে সিরিয়ার তারতুস বন্দরে ছয়টি যুদ্ধজাহাজ অবস্থান করছে। ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন রুশ নৌবাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও রসদ সংগ্রহ করার উদ্দেশে তারতুসে গেছে এসব যুদ্ধজাহাজ। গত মাসে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, দেশটির নিকটতম সমুদ্র উপকূলের পাশাপাশি ভূমধ্যসাগর, উত্তর মহাসাগর, ওখোটস্ক সাগর, আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরে বড় ধরনের মহড়া চালাবে রুশ নৌবাহিনী। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় এ মহড়ায় সহযোগী জাহাজসহ ১৪০টি যুদ্ধজাহাজ, ৬০টি যুদ্ধবিমান, সামরিক বাহিনীর এক হাজার ইউনিট ও প্রায় ১০ হাজার সৈন্য অংশগ্রহণ করবে। গত ২০ জানুয়ারি ওই বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সাগর ও মহাসাগর থেকে সৃষ্ট হুমকি হতে রাশিয়াকে সুরক্ষা দিতে এই মহড়া চালানো হচ্ছে। ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার নৌবাহিনীর জন্য রসদ সংগ্রহের একমাত্র বন্দর হচ্ছে সিরিয়ার তারতুস। এছাড়া, নিকটস্থ লাতাকিয়া প্রদেশের হামেইমিমে রাশিয়ার একটি স্থায়ী বিমান ঘাঁটি রয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট বর্তমানে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। ন্যাটো জোট অভিযোগ করছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর উদ্দেশে দেশটির সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। তবে মস্কো ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আত্মরক্ষামূলক সামরিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এসব সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। গার্ডিয়ান, তাস, আরটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।