পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আরো এক আসামিকে পাকড়াও করেছে র্যাব। পরপর দুটি খুন করার পর আসামি জসিম উদ্দিন নগরীর ফটিকরহাট ও বোয়ালখালীতে আত্মগোপন করেন। ছদ্মবেশ ধারণ করে ট্রাক চালাতে শুরু করেন। এ অবস্থায় গ্রামের সম্পত্তি বিক্রি করে নগরীতে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। বিয়ে-শাদি করে সংসারীও হন। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের আশা ছেড়ে দিলেও বিশ বছর পর এই খুনিকে ধরে দিলো র্যাব।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বন্দর নিমতলার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের একটি বিশেষ টিম। জসিম উদ্দিন লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদের মৃত বেলায়েত আলীর পুত্র। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যতম প্রধান আসামি সৈয়দ আহম্মেদকে নগরীর আকবর শাহ থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
ছোটভাইকে হত্যার সাক্ষি দেয়ায় বিগত ২০০২ সালের ৩০ মার্চ ব্যবসায়ী জানে আলমকে তার এক বছরের শিশু সন্তানের সামনে নির্মম ও নৃশংসভাবে প্রথমে লাঠি সোটা, দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত এবং পরে গুলি করে হত্যা করা হয়। চার মাস আগে জানে আলমের ছোট ভাইকেও একইভাবে হত্যা করা হয়। তিনি ওই মামলায় সাক্ষী দেয়ায় তাকে হত্যা করে আসামিরা। এই ঘটনায় নিহতের পুত্র মো. তজবিরুল আলম বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিগত ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই বিচারিক আদালত এই মামলায় ১২ জনকে ফাঁসি এবং আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আসামিরা এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আদালত জসিম উদ্দিনসহ মোট ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন এবং বাকীদের খালাস দেন।
র্যাব জানায়, প্রথম হত্যাকাণ্ড শেষে জসিম উদ্দিন মহানগরীর ডাবলমুরিং থানাধীন ফকিরহাট এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে ট্রাক চালনা শুরু করেন। ওই এলাকায় প্রায় তিন বছর বসবাস করেন। সেখান থেকে গ্রামে গিয়ে দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ড তথা আলোচিত জানে আলম হত্যায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর কালুরঘাট এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বোয়ালখালী থেকে বিয়ে করেন। পরে লোহাগাড়ায় নিজের পৈত্রিক ভিটা-বাড়ি ফেলে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন কালুরঘাটে। এরপর কালুরঘাটে ট্রাক চালক হিসাবে তিন বছর অবস্থান করেন। পরবর্তীতে মহানগরীর আগ্রাবাদ ডেবারপাড় এলাকায় বাসা নিয়ে চার বছর বসবাস করেন।
এরপর আবার ফকির হাটে বাসা ভাড়া নিয়ে সাত বছর এবং সেখান থেকে বন্দর থানাধীন নিমতলা বাসা ভাড়া নেন। জাল জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করেন। গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ বিশ বছর ছদ্মবেশ ধরার পাশাপাশি তিনি আত্মীয় স্বজনদের সাথে সব ধরনের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রাখেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।