চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : আমার স্বামী অন্য এক নারীর প্রতি আসক্ত। অনেক টাকা সে তার পেছনে খরচ করে। আমার সকল চাহিদা পূরণ করছে। তাই আমি তা না জানার ভান করছি। কি করব?
উত্তর : আপনি শান্তি চাইলে না জানার ভান করতেই থাকুন। যদি আপনার স্বামীর এ আসক্তি বৈধ উপায়ে হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ক্ষোভ কিছু কম থাকা ভালো। দেশীয় আইনে আপনার অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিবাহ করলে আপনার স্বামীকে আপনি জেল জরিমানা করতে পারেন। এতে সংসারে সুখ ও মানসিক শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় না। বৃটেনের এ আইনটি কেমন তাও দেখতে হবে। আমাদের দেশে অবৈধ সম্পর্ক বা পরকীয়া আইনে তেমন দোষনীয় নয়। কিন্তু স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করা মারাত্মক অপরাধ। যদিও এটি স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক আন্ডারস্যান্ডিংয়ের ব্যাপার। শরীয়তে আপনার সাথে পূর্ণাঙ্গ সদাচরণ, দায়িত্বপালন সাপেক্ষে স্বামী আপনার অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিবাহ করতে পারে। তবে তার ওপর কঠোর নির্দেশ হলো, দু’জনের মধ্যে কাটায় কাটায় সমতা বজায় রাখা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন, ‘যদি তোমরা দু’জনের মধ্যে কাটায় কাটায় সমতা ও সুবিচার করতে পারবে না বলে আশংকা কর, তাহলে এক বিবাহের বেশি করো না।’ সূরা নিসা। এরপর আসুন দ্বিতীয় অবস্থায়, মানে আপনার স্বামী যদি অবৈধ আসক্তিতে পরে থাকেন তাহলে এরচেয়ে মারাত্মক পাপাচার আর নেই। এটি মেনে নিয়ে সংসার করা আপনার জন্য জায়েজ। যদি আপনাকে কোনো কষ্ট না দেয়। তাহলে ‘না জানার ভান’ করাও জায়েজ। শান্তি বজায় রাখার জন্য ইগনোর করে যান। বুদ্ধিমত্তার সাথে তাকে ধীরে ধীরে এ অন্যায় থেকে ফিরিয়ে আনুন। তাকে সন্দেহ বা দুর্ব্যবহারের চেয়ে কৌশলে ফিরিয়ে আনাই অধিক কার্যকর। এসব একসময় কেটে যায়। মানুষ তার মূল সংসারেই ফিরে আসে। প্রয়োজন ধৈর্য, কৌশল, দোয়া ও পরম সহিষ্ণুতার। এখানে গুনাহ থেকে তাকে ফেরানোর মৌলিক কোনো দায়িত্ব আপনার নেই। স্বামী হিসাবে সে বরং নিজেই এ জন্য দ্বিগুণ দায় বহন করে। আপনি নিজ বিবেচনায় সব দিক সামাল দিন। তবে আপনার ‘না জানার ভান’ করছি কথাটি অনেক দামী। যদি সংসারে এভাবে মানুষ ভাবতো, তাহলে ৮০ ভাগ সমস্যা মাটি চাপা পড়ে যেত। তবে এ ভান করা পৃথিবীর কঠিন কাজ গুলোর একটি।
প্রশ্ন : ছোট সময় নদীতে ভেসে আসা, ভগবানের উদ্দেশ্যে নিবেদিত খাদ্যসামগ্রী অনেকবার খেয়েছি। এসব কি জায়েজ হয়েছে?
আতিকুল ইসলাম, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ।
উত্তর : দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত ও তাদের বলি দেয়া পশু খাওয়া হারাম। তবে, অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য, ফলমূল খাওয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। এক শ্রেণীর আলেম এগুলোকে আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে জবাই ও উৎসর্গকৃত পশুর মতোই হারাম বলেছেন। আরেক শ্রেণীর কিছু আলেম বলেছেন, মন্দির থেকে পাওয়া প্রসাদ খাওয়া হারাম। তবে, নদীতে ভেসে আসা বা অন্য কোথাও পাওয়া খাবার ইচ্ছা করলে কেউ খেতে পারে। এটি খাদ্য বিনষ্ট হওয়ার কারণে কিংবা গ্রহণকারীর প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। তবে, কোনো অবস্থায়ই তা মাকরূহ থেকে খালি নয়। মাকরূহ মানে নিন্দনীয় ও পরিত্যাজ্য কিন্তু পরিষ্কার হারাম নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।