Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৫০ বছরের সাজার মুখে অংসান সু চি

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:১৪ পিএম

সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরও একটি অভিযোগ এনেছে দেশটির সামরিক সরকার। এটি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১১তম অভিযোগ। সবগুলো অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে নোবেলজয়ী এই নেত্রী দেড়শো বছরের বেশি মেয়াদে সাজার মুখোমুখি হতে পারেন।

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মোট ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর প্রতিটিতে পৃথকভাবে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে তার। আর সেটি হলে সু চির মোট সাজার মেয়াদ ১৫০ বছর ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এর আগে গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরও ৫টি অভিযোগ এনেছিল জান্তা সরকার। সেসময় জানানো হয়েছিল, এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিটির জন্য ১৫ বছর করে কারাভোগ করতে হতে পারে তাকে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ইনফরমেশন টিম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিজের মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের জন্য ৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান গ্রহণ করেছিলেন অং সান সু চি। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।

অবশ্য বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ আনা হলেও এর বিচারিক কার্যক্রম ঠিক কবে নাগাদ শুরু হতে পারে সেটি ওই বিবৃতিতে জানানো হয়নি।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ইতোমধ্যে প্রায় এক ডজন মামলা করেছে মিয়ানমারের জাতীয় ক্ষমতায় আসীন জান্তা। রাজধানী নেইপিদোর জান্তানিয়ন্ত্রত আদালতেই বিচার চলছে সেসব মামলার। সব মামলায় যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে তাকে কারাগারে কাটাতে হবে দেড়শো বছরেরও বেশি সময়। সু চি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।

এর আগে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার দায়ে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির একটি আদালত। সরকারের শীর্ষ পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাসের মাথায় তার বিরুদ্ধে দেওয়া প্রথম কোনো রায় ছিল সেটি।

তবে সু চির বিরুদ্ধে এই রায়ের পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সেসময় আদালত সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে পরে সেটি দুই বছর কমিয়ে দেয় জান্তা সরকার।

এরপর অবৈধ ওয়াকিটকি রাখাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে অং সান সু চিকে আরও চার বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত তিনি ৬ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন।

 



 

Show all comments
  • বেলায়েত হোসেন ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৩:২৭ পিএম says : 0
    সূচি গনতন্ত্রকামী নেত্রী নন;তিনি বিশ্ব বেহায়া আপসকামী। হিংস্র সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিছক ক্ষমতার মোহে আপস করেছিলেন। নির্বিচারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে গণহত্যা,ধর্ষন অগ্নিসংযোগের সময় সূচির গনতান্ত্রিক চেতনা লুকিয়ে রাখছিলেন গণশৌচাগারে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ