চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : একটি মেয়ের সাথে আমার প্রেম ও দৈহিক সম্পর্ক ছিল, পরে জানলাম সে আমার সাথে ধোঁকাবাজি করে অন্য ছেলের সাথে প্রেম করছে। তাই তাকে আমি বিয়ে করি নাই। বর্তমানে আমি বিবাহিত। কী করব? যদি গোনাহ হয়ে থাকে?
উত্তর : গোনাহ অবশ্যই হয়েছে। অন্য ছেলের সাথে ‘প্রেম’ করছে মানে কি? দৈহিক সম্পর্ক না শুধুই যোগাযোগ? আপনি ধোঁকাবাজি মনে করে তাকে বিয়ে করেননি। আসলে বিষয়টি শরিয়তসম্মতভাবে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে ধোঁকাবাজ মনে করা ও সম্পর্ক শেষ করে দেয়া একটু বাড়াবাড়িই হয়ে গেছে। কারণ, আপনারা দু’জনই সমান গোনাহ করেছেন। বিয়ে হলে সংশোধন ও একসাথে তওবার সুযোগ ছিল। এখন আর কী করবেন? বর্তমান বিবাহিত জীবন স্বাভাবিকভাবে কাটান আর আগের গোনাহের জন্য সারাজীবন তওবা ইস্তেগফার, দোয়া কান্নাকাটির মধ্যে কাটিয়ে দিন। আর মেয়েটি কোথায় কেমন আছে তা তো আমাদের জানার উপায় নেই। তবে এমন মেয়ের জন্যও ক্ষমা লাভের একই পথ। স্বাভাবিক সংসার করা, আর অনুতপ্ত হৃদয়ে আমরণ তওবা ইস্তেগফার, দোয়া ও কান্নাকাটি করে যাওয়া।
প্রশ্ন : আমি একটি মুসলিম মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করি। গোপনে ইসলাম গ্রহণ করি শুধু এই উদ্দেশ্যে। এখনো পরিচয় ও ধর্ম গোপন রেখে চলেছি। উত্তরণের উপায় বলবেন মৌলভি সাহাব।
সুকুমার চৌধুরী, ঝাড়খণ্ড, ইন্ডিয়া।
উত্তর : রাষ্ট্র ও সমাজের ভয়ে বৈরী পরিবেশে নিজের ইসলাম গ্রহণ গোপন রাখা যায়। সময়-সুযোগে প্রকাশ করবেন, না হলে যেভাবে আছেন সেভাবেই আল্লাহর ইবাদত ও সংসার জীবন চালিয়ে যাবেন। একটি কথা জেনে রাখা প্রয়োজন, আপনার দাবি অনুযায়ী ‘গোপনে ইসলাম গ্রহণ করি শুধু এই উদ্দেশ্যে’। এটি ইসলাম গ্রহণের বিশুদ্ধ পন্থা নয়। মুসলিম নারীকে বিয়ে করতে হলে ইসলাম গ্রহণ তো করতেই হবে, তবে ইসলামের বিধান হচ্ছে নিজের মনকে এভাবে প্রস্তুত করা যে, আমি আমার মূল স্রষ্টাকে চিনেই তার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম। তাকে খুশি করাই আমার মুখ্য উদ্দেশ্য। বিয়ের জন্য ঈমান আনার চেয়ে আল্লাহকে খুশি করার জন্য এবং পরকালে মুক্তি লাভের জন্য ইসলাম গ্রহণ করাই আসল বিধান। এখনই মনোভাব পাল্টে এমন করে নিন। নতুন করে আর কিছুই করতে হবে না।
প্রশ্ন : ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে ‘মেডিক্যাল ম্যারিজুয়ানা’ বলে গাঁজা, চরশ ইত্যাদি বৈধভাবে গ্রহণের আইন হয়েছে। যদি সত্যিকার ভাবেই এতে উপকার পাওয়া যায়, এটি গ্রহণ করলে ইসলামে কোনো বাধা আছে কি?
উত্তর : কোরআনে আল্লাহ যে আয়াতে মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করেছেন, সেখানে বলেছেন, এতে মানুষের কিছু উপকার আছে। তবে এর ক্ষতিকারিতা ও পাপ এর উপকারের চেয়ে অনেক বেশি বড়। সুতরাং এ মাদক হারাম করার পর এর উপকারের দিকে আর তাকানো জায়েজ হবে না। হাদিস শরিফে এসেছে, মাদক সকল পাপের মূল। ইসলামি আইনে আছে, প্রতিটি মাদকদ্রব্য হারাম। আর যার বেশি হারাম, তার অল্পও হারাম। কেবল ডাক্তারের নির্দেশনায় কোনো মারাত্মক রোগীকে বেহুঁশ করা বা ব্যথ্যা বন্ধ করার জন্যই মাদক থেকে উৎপন্ন ওষুধ বা ইনজেকশন নেয়া সাময়িকভাবে জায়েজ হতে পারে। ব্যক্তিগত ইচ্ছায় এসব দ্রব্য, মাদকতা লাভ কিংবা নেশা করার জন্য ব্যবহার করা সর্বাবস্থায় হারাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।