Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওমিক্রন ঠেকাতে সচেতনতা

| প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:১৫ এএম

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড হওয়া সত্ত্বেও আমরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে তেমন গুরুত্বসহকারে দেখছি না। ভাইরাসের দোহাই দিয়ে সময়ে-অসময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করায় শিক্ষার্থীদের জীবন যে ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে এ নিয়ে আমরা কেউই ভাবছি না। কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাপক ঘাটতি হয়েছে। যেভাবেই হোক, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে নতুন ক্লাসের পাঠগ্রহণ শুরু করেছে মাত্র। এরই মধ্যে আমাদের মাঝে ওমিক্রন এসে হাজির হয়েছে। ওমিক্রন ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেই ওমিক্রন আক্রান্তের হার কমবে না। যদি না আমরা সবাই মিলে সচেতন হই। কোভিড-১৯ এর কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবুও আমরা অসচেতন। রাস্তা-ঘাটে এখনো অনেকেই অসচেতনভাবে চলাফেরা করে। আর এজন্যই দিনদিন আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুর হার বেড়েই চলছে। সুতরাং, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা ওমিক্রন ঠেকানোর একমাত্র সমাধান নয়। ওমিক্রন ঠেকানোর একমাত্র সমাধান হলো সবার সচেতন হওয়া। সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। তবেই আমরা ওমিক্রনমুক্ত থাকতে পারবো। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূর্বের মতো অতি শীঘ্রই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হোক। তা নাহলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ একেবারেই ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।

মো. আল-আমিন
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওমিক্রন

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন