পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের কথিত গেস্টরুমে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় তিন ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে ৬ মাসের বহিষ্কারাদেশ দিয়েছে হল প্রশাসন। বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান রাজু, ইতিহাস বিভাগের হৃদয় আহমেদ কাজল ও সমাজকল্যাণ বিভাগের ইয়ামিন ইসলাম। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। বহিষ্কারের বিষয়টি ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ মিরান ও হল প্রভোস্ট প্রফেসর আব্দুল বাছির।
গত ২৭ জানুয়ারি এই হলের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের এক শিক্ষার্থী আকতারুল ইসলামকে ছাত্রলীগের কথিত গেস্টরুমে যথাসময়ে উপস্থিত হতে না পারায় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন ২০১৯-২০ সেশনের কয়েকজন শিক্ষার্থী। জানা যায়, তারা সবাই হল ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।
এ ঘটনায় ৬ ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করে হল প্রভোস্ট বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন আকতার। অভিযোগের ভিত্তিতে রসায়ন বিভাগের প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ মিরানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন প্রভোস্ট প্রফেসর আব্দুল বাছির। এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন তদন্ত কমিটি। এবং গত মঙ্গলবার ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে ৬ মাসের এ বহিষ্কারাদেশ দেন হল প্রশাসন।
প্রফেসর আব্দুল বাছির বলেন, সেদিনের ঘটনায় ভুক্তভোগী আকতারুল মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি এবং তাদের তদন্তে তিনজনের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। সে অনুযায়ী তাদের তিনজনকে ৬ মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করেছি।
তদন্ত কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ মিরান বলেন, আমরা বাদি বিবাদির কথা শুনেছি, সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি, সব তথ্য যাচাই-বাছাই করেই নির্ধারিত সময়ের (৩১ডিসেম্বর) মধ্যেই হল প্রভোস্টের নিকট তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি। আমরা তিনজনের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছি এবং বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারা পরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারে যে তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে। তাদের জড়িত না থাকার বিষয়টি বাদিও নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, অসুস্থতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে গেস্টরুমে না আসায় ডেকে নিয়ে আকতারুলকে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে সে আরও অসুস্থ হয়ে যান। পরে গণরুমে পাঠালে সেখানে জ্ঞান হারান। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইসিজি টেস্ট ও কভিড টেস্ট করান ডাক্তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।