মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে ইসরাইলকে 'বিভাজনসৃষ্টিকারী' রাষ্ট্র বলেছে অ্যামনেস্টি। পাল্টা আক্রমণে ইসরাইলের বক্তব্য অ্যামনেস্টি 'ইহুদিবিরোধী' আগুন ছড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রায় ২০০ পাতার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ওই রিপোর্টে অ্যামনেস্টির সঙ্গে কাজ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং ইসরাইলের মানবাধিকার সংগঠন বিটিসেলেম। রিপোর্টে একাধিক বিষয়ের অবতারণা করে বলা হয়েছে, ইসরাইল যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, তাকে 'অ্যাপারথেইড' বলা যায়।
সমাজবিজ্ঞানে এই শব্দটি নিয়ে বিস্তর বিতর্ক আছে। বস্তুত অ্যাপারথেইড শব্দটিকে বিভাজনসৃষ্টিকারী রাষ্ট্রের সংজ্ঞা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। যে রাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে। সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বর্ণ-ধর্ম-জাতিসত্ত্বা ইত্যাদি বিষয়গুলিকে সামনে রাখে। অ্যাপারথেইডের ভাবানুবাদ হতে পারে বিভাজনসৃষ্টিকারী রাষ্ট্র।
অ্যামনেস্টির রিপোর্টে এই শব্দটি ব্যবহার করেই ইসরাইলকে আক্রমণ করা হয়েছে। ইতিহাস উল্লেখ করে, এবং ইতিহাসের ঘটনাবলি সাজিয়ে দেখানো হয়েছে, কীভাবে ইসরাইলে বসবাসকারী আরব এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করেছে ইসরাইলের প্রশাসন। শুধু তা-ই নয়, গাজা এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের উল্লেখ করেও ইসরাইলকে একহাত নিয়েছে অ্যামনেস্টি।
অ্যামনেস্টির রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কড়া প্রত্যুত্তর দিয়েছে ইসরাইল। তাদের বক্তব্য, একতরফা ব্যাখ্যা করেছে মানবাধিকার সংগঠনটি। তাদের ব্যাখ্যা ইহুদিবিরোধী মানসিকতায় ইন্ধন জোগাবে। এক্ষেত্রে একটি কড়া শব্দ ব্যবহার করেছে ইসরাইল। তারা বলেছে, অ্যামনেস্টি অ্যান্টিসেমিটিজমের জন্ম দিচ্ছে। যার অর্থ ইহুদিবিরোধিতা।
অ্যামনেস্টির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস কোলামার্ড ইসরাইলের এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, ইতিহাস ব্যাখ্যা করেই মানবাধিকার সংগঠনটি এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। ইসরাইল অকারণে অ্যামনেস্টির বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসরাইলের জন্মের সময় বহু ফিলিস্তিনি এবং আরব সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে পালিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ইসরাইলে প্রায় ২০ শতাংশ ফিলিস্তিনি এবং আরব থাকতে শুরু করেন। তাদের সঙ্গে ইসরাইল বিমাতৃসুলভ আচরণ করে। কাজের সুযোগ থেকেও তারা বঞ্চিত হন। গাজা এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক ধরলে দুইপক্ষের মানুষের অনুপাত প্রায় সমান সমান। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা হয়।
ইসরাইলের বক্তব্য, অ্যামনেস্টির রিপোর্টে গোড়ায় গলদ আছে। তারা ইতিহাসের ভুল ব্যাখ্যা করেছে। ইসরাইলে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়, এ কথাও মানতে চায়নি ইসরাইল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অ্যামনেস্টির রিপোর্ট এবং ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া দুই ক্ষেত্রেই বেশকিছু কড়া শব্দের ব্যবহার আছে। যা পরিস্থিতি আরো জটিল করে দিয়েছে। সূত্র: এএফপি, এপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।