মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, লেবাননের বৈরুত বন্দরের অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত তুরস্ক। মঙ্গলবার লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাতে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিকে স্বাগত জানান এরদোগান। এ যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আগে দু’দেশের শীর্ষ নেতা ও অন্যান্য প্রতিনিধিরা এক আলোচনা বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেন, ওই আলোচনা বৈঠকে আমরা তুরস্ক-লেবানন সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনায় আমরা পারস্পরিক সহযোগিতামূলক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমি আমার বন্ধুর (লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি) সাথে আলোচনার সময় এ বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়েছি যে কিভাবে আমরা (তুরস্ক) লেবাননের জন্য কিছু করতে পারি। এছাড়া লেবাননে আমরা কোন ক্ষেত্রগুলোতে পদক্ষেপ নিতে পারি তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। লেবাননের বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের দিনই আমি আমার সহকারী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ওই বন্দরে পাঠিয়েছি। তারা বৈরুত বন্দরে পৌঁছে লেবাননের জনগণের প্রতি আমাদের (তুরস্কের) সংহতি প্রকাশ করেছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের পর তুরস্ক হলো প্রথম দেশ যারা লেবাননে তাদের সাহায্য পাঠিয়েছিল। লেবাননে ওই সময় অ্যাম্বুলেন্স প্লেনও পাঠিয়েছিল তুরস্ক। ওই সময় লেবাননের জনগণের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেনি তুরস্ক।
এরদোগান বলেন, তিনি লেবাননে সরকার পুনর্গঠন করার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করেন। এ সময় তিনি বলেন যে করোনাকালীন সময়েও তুরস্ক ও লেবাননের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। দু’দেশের বাণিজ্যের আকার এখন ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর এ বাণিজ্যক লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ৮০ শতাংশেরও বেশি।
লেবাননের বৈরুত বন্দরের অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেন, আমি বলেছি যে তুর্কি কোম্পানিগুলো লেবাননের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে প্রস্তুত। এমনকি লেবাননের বৈরুত বন্দরের অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বও নিতে চায় তুর্কি কোম্পানিগুলো। এছাড়া লেবাননে আরো পর্যটক যাওয়ার বিষয়েও জোর দেন এরদোগান।
এদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেন, লেবাননের জন্য তুরস্কের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আজ আমাদের তুরস্কের সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার। আমি আশা করি যে এরদোগানের সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে সাহায্য ও সহযোগিতার অনেক দরজা খুলে যাবে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।