Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিবাহ হরতালের কথা বলছেন তারা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৬ এএম

ধর্ষণ আইন নিয়ে দিল্লির আদালতের এক শুনানি ঘিরে বিতর্ক চলছে গোটা ভারতে। পুরুষদের একটি অংশ মনে করছে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ অপরাধ হিসেবে গণ্য হলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অপব্যবহার হতে পারে। ভারত বিশ্বের ৩০টি দেশের একটি যেখানে বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত নয়। ভারতে সামাজিক মাধ্যম এখন ‘বিবাহ হরতাল’ সংক্রান্ত পোস্টে ভরপুর। অনেক পুরুষই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এই বিষয়ে। ধর্ষণ সংস্ক্রান্ত আইনে ‘বৈবাহিক ধর্ষণের’ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে নতুন দিল্লির আদালতে এক পিটিশনের শুনানির প্রেক্ষিতে নতুন করে এই বিতর্কটি শুরু হয়েছে। আবেদনকারীরা বলছেন, স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলন স্বামীর অধিকার নয়, এজন্য স্বামী কখনো স্ত্রীকে জোর করতে পারেন না। বিদ্যমান আইনে স্বামীকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে রেহাই দেয়ার বিষয়টিকে তারা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, এটি অসাংবিধানিক ও নারীদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। গত এক দশকে ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে ভারত। তবে বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। বিশ্বে ত্রিশটির মতো দেশ রয়েছে যেখানে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ ধরা হয় না। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতের নাম। বিদ্যমান আইন অনযায়ী, অনুমতি ছাড়া কোনো নারীর সঙ্গে এবং অপ্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে ধর্ষণ হিসেবে ধরা হয়। এর কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। আঠারো বছরের ঊর্ধ্বে স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্ত্রীর অনুমতিবিহীন হলেও তা ধর্ষণের আওতায় পড়ে না। ডয়চে ভেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ