পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
শাহ্জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (এখন থেকে বলবো ‘শাবি’) ছাত্রদের আন্দোলন, বিশেষ করে অনশন এবং এ ব্যাপারে ড. জাফর ইকবালের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে, বিশেষকরে সামাজিক মাধ্যমে অনেক কথা উঠেছে। আমি সেসব কথা নিয়ে আলোচনা করবো না। কারণ, সামাজিক মাধ্যমে যেসব কথা হয় সেসব কথা নিয়ে সাধারণত: কিছু লিখিনা। সেখানে অনেক স্পর্শকাতর কথা বলা হয়। ঐসব কথা নিয়ে লিখলে তার নির্ভরযোগ্যতা বা অথেনটিসিটির দায় অনেক সময় কলামিস্টের ঘাড়ে বর্তায়। ইউটিউব বা ফেসবুকে যেসব আলোচনা হয় বা যেসব সংবাদ পরিবেশিত হয়, সেগুলির সত্যাসত্য প্রমাণ কলামিস্টের পক্ষে সম্ভব নয়। তারপরেও যেভাবে মূল দাবীর ধারে পাশে না গিয়েও অধ্যাপক ইকবালের আশ্বাসে অনশন ভাঙ্গা হলো, সেটা আমার কাছে ভাল লাগেনি। কিন্তু আমি যা ভাবছি তার সপক্ষে প্রমাণ কই? এসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে নজর আটকে গেল ইউটিউবের একটি ফুটেজে। ’৭১ টিভির এই আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই দিন, যেদিন অধ্যাপক জাফর ইকবাল শাবির কাজ সেরে ঢাকায় ফিরছিলেন। ঐ আলোচনায় আরো ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দিপুমনি। ঐ আলোচনায় জাফর ইকবাল বলেন, আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবী হলো শাবির ভিসির পদত্যাগ। ঐ ফুটেজটি ডাউনলোড করে আমার কম্পিউটারে আমি সংরক্ষণ করেছি। জাফর ইকবাল বলেন, আমি ভিসি হলে তো প্রথম দিনেই পদত্যাগ করতাম। এই ভিসি তো মনে হয়, পদত্যাগ করবেন না। পদত্যাগ করার হলে তো এই ৭ দিনের মধ্যেই করতেন। তিনি বলেন, ওপরের মহল থেকে তাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবীগুলো মেনে নেওয়া হবে। এই পর্যায়ে জনৈক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, ওপরের মহল থেকে আপনাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে, যৌক্তিক দাবীগুলো মেনে নেওয়া হবে। তাহলে আপনি (জাফর ইকবাল) কি নিজ উদ্যোগে শাবিতে গিয়েছিলেন? নাকি ওপরের মহলের অনুরোধের কারণে গেলেন? উত্তরে জাফর ইকবাল বলেন, “আমি হয়তো নিজেই যেতাম। ওপরের মহলের সাথে যোগাযোগ হয়েছে। তারা আমাকে অনুরোধ করেছে। তাদের জন্য কাজটা কঠিন ছিল। ওপরের মহল চাচ্ছিলেন যে, তোমরা এই আন্দোলন থেকে ফিরে এসো এবং এই আন্দোলনটা বন্ধ করো।” (প্রিয় পাঠক, আমি নিজে এখানে একটি শব্দও জুড়ে দেই নাই। ভিডিওর কথাগুলো হুবহু তুলে দিয়েছি)।
এই পর্যায়ে সঞ্চালক মিথিলা ফারজানা শিক্ষামন্ত্রীকে কিছু বলতে বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “জাফর ইকবাল সঠিক সময়ে গিয়েছেন। ফলে সঠিক কাজটি হয়েছে। পুরো সমস্যাটির সুষ্ঠ সমাধান হয়েছে।” এই পর্যায়ে জাফর ইকবাল বলেন, আমার প্রধান বিবেচ্য ছিল অনশন ভঙ্গ করা। তখন একজন সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, ছাত্রদের প্রধান দাবী ছিল ভিসির পদত্যাগ। তার কি হলো? জবাবে জাফর ইকবাল বলেন, তার অপসারণের ব্যাপারটি আচার্য্যরে বিষয়। আচার্য্য তাকে নিয়োগ দেন। (আচার্য্য হলেন চ্যান্সেলর। আর চ্যান্সেলর হলেন রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট)। এই পর্যায়ে একজন সাংবাদিক তাকে বলেন যে, তাদের দাবী মেনে নেওয়া হবে, আপনি কোন আশ্বাসের ভিত্তিতে এমন কথা বললেন? এখন যদি মূল দাবী অর্থাৎ ভিসির অপসারণ করা না হয় তাহলে আপনি তো ছাত্রদের মাঝে বিতর্কিত হয়ে যাবেন। জবাবে জাফর ইকবাল বলেন, আমার মূল লক্ষ্য ছিল ছাত্রদের অনশন ভাঙ্গা।
॥দুই॥
আসলে জনাব জাফর ইকবাল শাবিতে গিয়েছিলেন আওয়ামী সরকারের প্রতিনিধি হয়ে (বাংলা নিউজ ২৪, ২৬ জানুয়ারি ২০২২)। এটি মনে করেন আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ডিসটিংগুইশড প্রফেসর আলী রিয়াজ। তিনি লিখেছেন, এই আন্দোলনে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের অভিযোগে আটক পাঁচজন শিক্ষার্থীকে ‘জামিন’ দেয়া হয়েছে, কিন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। এই আটকের ঘটনায় কোন আইন অনুসরণ করা হয়েছে সেই বিষয়েও স্পষ্টতা নেই, এই নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রশ্ন তুলেছিলো। সাবেক ৫ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছেন সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাত আহমেদ লায়েক। তাঁর বক্তব্য, ‘আন্দোলনে অর্থ সহায়তাকারীরা বিএনপি-জামায়াত, তাই মামলা করেছি’ (ডেইলি স্টার, জানুয়ারি ২৬, ২০২২)। এই ধরণের অভিযোগে মামলা নেয়া এবং তাঁদের আটক করার মধ্যে যা স্পষ্ট তা হচ্ছে, আইন নয়, সরকারের ইচ্ছেই আসল কথা। এই সব জামিনের পর অভিযুক্তরা বছরের পর বছর আদালতে হাজিরা দিতে বাধ্য হন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবেন। অন্যদের কথা বাদই থাকলো।
অধ্যাপক জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের বলেছেন, “সরকারের কাছে আন্দোলনের সঠিক তথ্য নেই। তিনি সরকারের কাছে তাদের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরবেন” (যুগান্তর, জানুয়ারি ২৬, ২০২২)। দুই সপ্তাহের বেশি আন্দোলন হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ওপরে ছাত্রলীগ হামলা করেছে, পুলিশ হামলা করেছে, মামলা হয়েছে, কিন্তু সরকারের কাছে ‘প্রকৃত তথ্য নেই’। তাহলে কীসের ভিত্তিতে পুলিশের হামলা-মামলা। কীসের ভিত্তিতে সরকারের আশ্বাস? এই আন্দোলনের সময় একটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, অনশনের সময় মেডিক্যাল টিম প্রত্যাহার করা হয়েছে। যুক্তিটি হাস্যকর - ‘করোনা ঝুঁকি এড়াতে’ (সিলেট টুডে২৪)। এই অমানবিক আচরণের পেছেন কারা ছিলো সেটা কে অনুসন্ধান করবে? “পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের টাকা লেনদেনের কয়েকটি মোবাইল একাউন্ট (বিকাশ, নগদ, রকেট) চিহ্নিত করে তা বন্ধ করে দেয়” (দেশ রূপান্তর, জানুয়ারি ২৬, ২০২২)। এই ধরণের পদক্ষেপ কেবল আইনের বিষয় নয়, এর সঙ্গে যুক্ত নাগরিকের অধিকারের প্রশ্ন। এই ধরণের ব্যবস্থা সকলকে ভীত করার উদ্দেশ্যেই করা এ কথা সহজেই বোঝা যায়।
॥তিন॥
অধ্যাপক জাফর ইকবাল বেশ কয়েকবার বলেছেন যে, ওপরের মহলের অনুরোধে তিনি শাবিতে গিয়েছিলেন। এই ওপরের মহল কে বা কারা সেটা তিনি পরিষ্কার করেননি। ভিসির অপসারণ যেখানে প্রধান ইস্যু, সেখানে ওপরের মহল বলতে প্রথমে বোঝায় শিক্ষামন্ত্রীকে। তারপরে ওপরের মহল বোঝায় প্রধানমন্ত্রীকে। অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, শিক্ষামন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী কেউই তাকে অনুরোধ করেননি। তাহলে এই ওপরের মহল কারা? পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ঢাকায় বসে সার্বিক বিষয় মনিটরিং করছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। সিলেটে তিনি বেশি পরিচিত। শাবির ঘটনায় তিনিও চিন্তিত হয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীদের দাবি এক দফা। পথ খুঁজলেন নানক। শীর্ষ মহলে করলেন আলোচনা। ড. জাফর ইকবালের নাম এলো আলোচনায়। তিনিই পারবেন ক্ষোভ কমিয়ে অনশন ভাঙাতে। দলের নেতারা জানান, মঙ্গলবার জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আসীম কুমার উকিল এবং সুভাষ সিংহ রায় অধ্যাপক জাফর ইকবালের বাসায় গিয়ে দেখা করেন। সেখানে ড. জাফর ইকবালের সঙ্গে পুরো পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। শেষ পর্যন্ত তাকে সিলেট যেতে রাজি করাতে সক্ষম হন। ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনেও ড. জাফর ইকবাল এ ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার আগে আওয়ামী লীগের একটি দল সিলেটে পাঠানো হয়। তারা সিলেটে বসেই সার্বিক বিষয় মনিটরিং করেন। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি দল অবস্থান করছিলেন সিলেটে। তারা সার্বিক বিষয় মনিটরিং করছিলেন শহরে বসেই। ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা করণীয় নির্ধারণ করতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক বিধান কুমার সাহার সঙ্গে বৈঠক করেন। কয়েক দফা হয় বৈঠক। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে থাকা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। নানামুখী চাপে তটস্থ হয়ে পড়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে অনশন ভাঙার অনুরোধ করেন। কিন্তু এতে সাড়া দেননি অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা। রাত ৯টার দিকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। ফলে পরিস্থিতির নতুন মোড় নেয়। এই অবস্থায় রাত ১০টার দিকে ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে সড়ক পথে রওয়ানা দেন প্রফেসর ড. জাফর ইকবাল। সঙ্গে স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক।
সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়েক আহমদ ঐ ৫ জন প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এই মামলা থেকে বোঝা যায় যে সরকারই এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর ঝুটা ইলজাম দিয়ে আন্দোলনকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে চেয়েছিল। এর সহজ সরল অর্থ এই যে, সরকার রজ্জুকে সর্প ভেবে ভ্রম করে। তারা যেকোনো আন্দোলনকেই সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র বলে মনে করে এবং সেই আন্দোলনকে ক্রাশ করার জন্য উঠে পগে লেগে যায়। অথচ এমন সাধারণ ও তুচ্ছ দাবীকেও প্রথমে ছাত্রলীগের মাস্তানদেরকে দিয়ে পিটিয়ে ঠান্ডা করার অপচেষ্টা করা হয়। ছাত্রলীগকে দিয়ে আন্দোলনকারীদেরকে পেটানো ছিল অগ্নিতে ঘৃতাহুতি দেওয়া।
ছাত্রলীগের গুন্ডামির বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্ররা নেমে পড়লে ভিসি পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে আন্দোলন ঠান্ডা করার ঘৃনিত কাজটি করেন। ফলে প্রভোস্টের অপসারণের দাবীটি ভিসির অপসারণের বাদীতে রূপান্তরিত হয় এবং এক দফা দাবী অর্থাৎ ভিসির অপসারণের দাবীতে রূপান্তরিত হয়। ভিসির অপসারণ দাবীতেই ঐ ১৬৭ ঘন্টা অনশন ধর্মঘট পালিত হয়।
ভার্সিটি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে যতগুলো খাবারের দোকান ছিল তার সবগুলো পুলিশ বন্ধ করে দেয়। পুলিশ তো এই ক্ষমতা রাখে না। তাহলে কার হুকুমে খাবারের দোকানগুলো বন্ধ করা হলো? আন্দোলনরতদের চিকিৎসা সেবা, অর্থাৎ মেডিক্যাল সার্ভিসও বন্ধ করে দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য, অনশনকারীরা যেন জরুরী চিকিৎসা সেবা না পায়। মেডিক্যাল সার্ভিস কে বন্ধ করেছিল? কার সেই ক্ষমতা আছে? পুলিশ হামলা চালানোর আগে ছাত্রলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় এবং তাদেরকে মারপিট করে। আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হওয়ার এমন হুকুম ছাত্রলীগকে কে দিতে পারে? ভিসির হুকুমে নিশ্চয়ই ছাত্রলীগের মাস্তানরা রংবাজী করেনি। ভিসির হুকুমে করে থাকলে তো ফরিদ উদ্দিনের অপসারণের প্রশ্নই আসে না।
ছাত্রলীগের হামলার পর হামলা চালায় পুলিশ। তারা লাঠিপেটা করার পর প্রয়োগ করে সাউন্ড গ্রেনেড। পুলিশ যখন এ্যাকশনে গেল তখন কি ভিসির অর্ডারে গিয়েছে? নাকি যেতে পারে? তাহলে কার অর্ডারে তারা এ্যাকশনে গিয়েছিলেন? শাবির ৫ জন প্রাক্তন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয় কার নির্দেশে? ভিসির নির্দেশে তো পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না।
জাফর ইকবাল সিলেট ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা পার হতে কি না হতেই শিক্ষা মন্ত্রী আসল কথা ফাঁস করে দিয়েছেন। বলেছেন, একজন ভিসিকে অপসারণ তো মূল সমস্যা নয়। ভিসি আসবেন, আর ভিসি যাবেন। কিন্তু সমস্যা তো থেকে যাবে। কাজেই এখনকার প্রধান কাজ হলো ঐসব সমস্যার সমাধান।
এই লেখাটি শেষ করছি ৩১ জানুয়ারি, সোমবার। এখন পর্যন্ত ভিসিকে সরানো বা তাকে সরানোর কোনো উদ্যোগের কোনো খবর কোনো গণমাধ্যমে দেখছি না। এমনও হতে পারে যে, তারা লেবু ঠিকই খাবেন, তবে তিতা করে খাবেন। শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী নয়, একজন সাহিত্যিকের কথায় বিশ্বাস করে আন্দোলন স্থগিত করেছেন। এখন আর তাদের করার কি আছে? সিপিবি বা ছাত্র ইউনিয়ন, অর্থাৎ মস্কোপন্থী কম্যুনিস্টরা ‘গান বাজনা এবং আল্পনা আঁকার’ মধ্যে তাদের ‘সর্ব হারার রাজ প্রতিষ্ঠার বিপ্লবকে’ সীমাবদ্ধ রাখেন। এখনও তাই করছেন। আন্দোলন অনশন ছেড়ে এখন আল্পনা এঁকে যাচ্ছেন। ওরা তো সব কোমলমতি। মনি মোজাফ্ফরের সুবিধাবাদী মার প্যাঁচ তারা বুঝবেন কোত্থেকে? কিভাবে? জাফর ইকবাল প্রগতি আর গাল ভরা বুলির মুখোশ পরে আছেন। ঐ মুখোশের আড়ালে তিনি যে তার আসল কোন চেহারা ঢেকে রেখেছেন, সেটা কি ওরা জানে? দু’একটি বিশেষ ঘরানার পত্রিকায় তিনি কলাম লেখেন। সেই কলাম পড়লেই তার পলিটিক্যাল কালার জানা যায়।
এখন ভিসিকে সরানোর দায় জাফর ইকবালের। দেখা যাক তিনি কি করেন।
Email: [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।