মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মেক্সিকোয় সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়েছে? প্রশ্ন উঠছে এই কারণে, গত বছরের মতো এই বছরের জানুয়ারিতেও সাংবাদিক হত্যা চলছে। যে তিনজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে দুই জন সরকারের কাছে সুরক্ষা চেয়েছিলেন।
গত মঙ্গলবার মেক্সিকো জুড়ে হাজার হাজার সাংবাদিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের দাবি, সাংবাদিকদের সুরক্ষা দিতে হবে এবং হত্যাকারীদের সাজা দিতে হবে। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)-র মতে, ২০২১ সালে মেক্সিকো ও ভারতে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক মারা গেছেন। মেক্সিকোয় অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে না। মাদক পাচারকারীদের রমরমা বাড়ছে।
এই বছরেই তিনজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সর্বশেষ হত্যা করা হয়েছে মালডোনাডোকে। এই নারী সাংবাদিকের সহকর্মী মার্গারিটা মার্টিনেজ এসল্কুইভেলকে তার দশদিন আগে হত্যা করা হয়েছে। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে সুরক্ষা চেয়েছিলেন।
২০১২ সালে সামাজিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য একটি মেকানিজম তৈরি হয়। ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশগুলির মধ্যে কলম্বিয়ায় প্রথম এই মেকানিজম চালু হয়। তারপর মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, ব্রাজিল, হন্ডুরাস ও পেুরুতেও তা চালু হয়। এর ফলে সাংবাদিকদের কিছুটা সুবিধা হয়। ১৩ জন সাংবাদিক এই সুরক্ষার ফলে এখনো বেঁচে আছেন।
মেক্সিকোয় রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স-এর ব্যালবিনা ফ্লোরেস ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ''এই সুরক্ষা ব্যবস্থায় প্রচুর গলদ আছে। যখন সাংবাদিকদের হুমকি দেয়া হয় এবং তিনি তা জানান, তার ১২ ঘণ্টার মধ্যে সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ বিভাগকে সতর্ক করে দেয়ার পর তাদের সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকের সুরক্ষায় নেমে পড়ার কথা।'' ফ্লোরেস বলেছেন, ''বাস্তবে সুরক্ষা দিতে ১৫ থেকে ২০ দিন লেগে যায়। এমনকী সাংবাদিককে দেহরক্ষী দিতে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগে।''
এখন মেক্সিকোয় পাঁচশ সাংবাদিক সহ এক হাজার পাঁচশ জনকে সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে। ফ্লোরেস বলেছেন, ''২০১৯ সালে আবেদনকারীর সংখ্যা ৬০ শতাংশ বেড়েছে।'' এনজিও আর্টিরুলো ১৯-এর কোঅর্ডিনেটার ইটজিয়া মিরাভেটে এই মেকানিজমের সমালোচনা করে বলেছেন, ''এই ব্যবস্থা খুবই খারাপভাবে রূপায়িত হয়েছে। ফেডারেল এজেন্সিগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে চলা হয় না।''
গত বছর মেক্সিকোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু সংস্কারের প্রস্তাব করে। মানবাধিকার সংগঠনগুলি তাকে স্বাগত জানায়। কিন্তু ফ্লোরেস মনে করেন, ''উপযুক্ত আর্থিক সাহায্য ও পেশাদার কর্মী না থাকলে এই সংস্কার চালু হওয়া সম্ভব নয়।'' আর ইটজিয়া মনে করেন, ''রাজনৈতিক সদিচ্ছা খুবই জরুরি। গোট ব্যবস্থায় আরো বেশি করে স্বচ্ছ্বতা প্রয়োজন।'' সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।