মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্প্রতি ভারতের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ ভান্ডারের খোঁজ মিলেছে বিহারের জামুই জেলার করমটিয়া এলাকায়। দেশটির ৪৪ শতাংশ স্বর্ণ ভান্ডার রয়েছে এই এলাকাতেই। এক সময় যে এলাকায় মাওবাদীদের বন্দুকের নল কথা বলত, এখন সেই এলাকাই সোনা ফলাচ্ছে!
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় গাছ-গাছালি আর লাল মাটির নীচে যে এত বড় সোনার ভান্ডার লুকিয়ে রয়েছে তা কেউ কোনও দিন ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি। এই সোনার ভান্ডারের সন্ধান পেতে ৪০ বছর সময় লেগে গিয়েছে। এখান থেকে ২২৩ টন সোনা পাওয়া যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
কী ভাবে এই সোনার ভান্ডারের খোঁজ মিলল তার পিছনেও একটি দারুণ কাহিনি আছে। জানেন কি, কোনও বিজ্ঞানী বা অন্য কোনও যান্ত্রিক উপায়ে এর খোঁজ মেলেনি। বিশাল এই সোনার ভান্ডারের খোঁজ দিয়েছে পিঁপড়েরা। অবিশ্বাস্য হলেও, এমনই দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তাদের দাবি, ওই এলাকায় চার দশক ধরে একটি বিশাল বটগাছ রয়েছে। রোদের তেজ আর গরমের হাত থেকে বাঁচতে পিঁপড়েরা বটগাছের নীচে বাসা বানাতে শুরু করে। মাটি খুঁড়ে যখন নীচ থেকে উপরে তোলা শুরু করে পিঁপড়েরা, তখন সেই মাটির মধ্যে হলুদ চকচকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা মিশে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবরটি মুহূর্তে ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৮২-’৮৬ সাল পর্যন্ত ওই এলাকা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (জিএসআই) খননকাজ শুরু করে। তখন বেশি সোনা না পাওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। ২০১০-১১ সালে ফের ওই এলাকার মাটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে তৎকালীন সরকার জানিয়েছিল জামুইয়ে ৪৪ শতাংশ সোনার ভান্ডার আছে। ২০২০-তে ফের জিএসআই মাটির নমুনা সংগ্রহ করে। অবশেষে সরকার ঘোষণা করে জামুইয়ে দেশের সবচেয়ে বড় সোনার ভান্ডার রয়েছে। সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।