পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চীনের সাথে ভবিষ্যত সহযোগিতা প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনার অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। আগামী ৩ ফেব্রæয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রী খানের চীন সফরের জন্য অনুষ্ঠিত একটি প্রস্তুতিমূলক অধিবেশনে ব্রিফিংটি দেয়া হয়। জনাব খান বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পুরো বিষয়টির সামগ্রিক পর্যালোচনার জন্য চীনা নেতাদের সাথে দেখা করবেন। সেশনে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, জ্বালানি মন্ত্রী হাম্মাদ আজহার, অর্থমন্ত্রী শওকত তারিন, তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী আসাদ উমর, বাণিজ্য উপদেষ্টা আবদুল রাজাক দাউদ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডক্টর মোইদ ইউসুফ, সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, সিপিইসির বিশেষ সহকারী খালিদ মনসুর এবং অন্যান্য সিনিয়র অফিসাররা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) বলেছে যে, জনাব খানকে চীনা কর্মকর্তাদের সাথে ‘বিনিয়োগ, বাণিজ্য, তথ্য প্রযুক্তি এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য দৃঢ় পরিকল্পনা’ নিয়ে চলমান আলোচনার বিষয়ে আপডেট করা হয়েছে। নিরাপত্তা এবং আইপিপি-এর মুলতবি পেমেন্টসহ চীনা কর্তৃপক্ষের উদ্বেগের বিষয়গুলোও আলোচনা করা হয়েছে। গত বছর উভয় দেশের নেতারা তাদের মতবিনিময়কালে কৃষি, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং জনগণের জীবিকা এবং স্বাস্থ্য, শিল্প, বাণিজ্য, ডিজিটাল এবং সবুজ করিডোর নির্মাণে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছিলেন। উভয় পক্ষ দশম জেসিসি বৈঠকে তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রæপ যুক্ত করেছে, যা এই খাতে সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করেছে। এদিকে সেনাপ্রধানও প্রধানমন্ত্রী খানের সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্কিত পেশাগত বিষয়গুলো বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে’। বৈঠকটিকে প্রধানমন্ত্রী খান এবং জেনারেল বাজওয়ার মধ্যে একক বৈঠকের মতো দেখায়। দর্শকরা অবশ্য বলছেন, অনুষ্ঠানে অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। দু’জনের মধ্যে সর্বশেষ প্রকাশ্য একক বৈঠকটি গত ২৬ অক্টোবর হয়েছিল, যেদিন নিয়োগ নিয়ে কয়েক সপ্তাহের দীর্ঘ বিতর্কের পর ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের নতুন মহাপরিচালক হিসাবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আঞ্জুমকে মনোনীত করা হয়েছিল। জনাব খান এবং জেনারেল বাজওয়া অবশ্য অন্যান্য ফোরামে বৈঠক করেছেন। ১৪ জানুয়ারি ন্যাশনাল সিকিউরিটি পলিসি লঞ্চের সময় দু’জন একসাথে ছিলেন এবং ১২ জানুয়ারি আইএসআই হেডকোয়ার্টারেও ব্রিফিংয়ের সময় ছিলেন। সূত্র : ডন অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।