Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৬ এএম

প্রশ্ন : একজন স্ত্রীর প্রতি একজন স্বামীর কি কি দায়িত্ব রয়েছে ইসলামের আলোকে জানতে চাই। জানাবেন আশা করি।
মোছাঃ আবিদা সুলতানা ঊর্মি
উত্তর : একজন স্বামীর দায়িত্ব স্ত্রীকে সবধরনের প্রোটেকশন দেওয়া। তাকে তার নির্ধারিত দেনমোহর দেওয়া। স্ত্রীকে থাকা খাওয়া, পোষাক, প্রসাধন, চিকিৎসা ও সামাজিকতাসহ জীবন যাপনের জরুরী সব উপকরণ সাধ্যমতো প্রদান করা। সন্তানাদি হলে তাদের লালন পালনও স্বামী হিসাবে পিতারই দায়িত্ব। স্ত্রীর দৈহিক মানসিক সংগ ও স্বস্তিও স্বামীর অন্যতম কর্তব্য। পরস্পরের মিল মহব্বত, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাবোধ একে অপরকে সহযোগিতার মনোভাব এনে দেওয়ার ফলে, তারা উভয়ে ত্যাগ ও ছাড় দেওয়ার মাধ্যমে একটি সমঝোতাপূর্ণ সংসার গড়ে তুলতে পারেন। কোনো কারণে সম্পর্কের অবনতি হলে শুধু লেনদেন বা বিধি-বিধান পরস্পরের মধ্যে শান্তি আনতে পারে না।
প্রশ্ন : শালির (স্ত্রীর বোনের) সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলে স্ত্রী কি তালাক হবে?
উত্তর : স্ত্রী তালাক হবে না। অবশ্য এ ধরনের সম্পর্ক দুনিয়ার সবচেয়ে বড় গুনাহগুলির একটি। ইসলামী শরীয়ায় বিবাহিতের বেলায় এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। অবিবাহিতের ক্ষেত্রে ১০০ বেত্রঘাত। যার ফলে মৃত্যুও হতে পারে। আখেরোত এর শাস্তি জাহান্নাম। জাহান্নামীদের পঁচা পুঁজ রক্ত ও বর্জ্য ভক্ষন, আগুনের শাস্তি ইত্যাদি। সারাজীবন তওবা ও কান্নাকাটির মাধ্যমে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতে থাকতে হবে। স্ত্রী বিবাহ বন্ধনে থাকাবস্থায় তার আপন বোনকে বিয়ে করলেও সে বিয়ে হবে না। স্ত্রীও তালাক হবে না। অবৈধ সম্পর্কের ক্ষেত্রেও স্ত্রী তালাক হয় না।
প্রশ্ন : মসজিদে প্রবেশ করে দেখলাম, ইমাম সাহেবসহ সবাই বসে আসে, আমি মনে করলাম ওনারা উঠলে আমি শরিক হবো, কিছুক্ষণপর ইমাম সাহেব সালাম ফিরিয়ে ফেললেন। এ ক্ষেত্রে আমার কী করা উচিত ছিল?
উত্তর : মসজিদে প্রবেশ করে ইমাম সাহেব তথা জামাতকে যে অবস্থায়ই পাওয়া যায়, শুধু ফরজ তাকবিরে উলা উচ্চারণ করার পরই সে অবস্থায় নিজে শরিক হয়ে যেতে হবে। সেজদা থেকে উঠার অপেক্ষা করারও দরকার নেই। জামাতের সাথে একটি সেজদা বেশি পাওয়া কি ভালো নয়। আপনার উচিত ছিল তাকবিরে উলার পরই বসে পড়া। তাহলে অন্তত জামাতটি পেয়ে যেতেন। অনেকে পরবর্তী অংশটিতে শরিক হওয়া অপেক্ষা করে। যা উচিত নয়।
প্রশ্ন : কেউ ৫০০০ টাকায় একটি আবাদী জমি ভাড়া নিল । বছরে ৫০০ টাকা ভাড়া বাবদ কাটা হবে। তিন বছর পর ১৫০০ টাকা ভাড়া কেটে বাকি ৩৫০০ টাকা ফেরত দিল। এ নিয়ম বৈধ কিনা?
উত্তর : এভাবে আবাদি জমি ভাড়া নেওয়া জায়েজ। উভয় পক্ষ রাজী হলে অগ্রিম টাকা নিতে পারে। বছরে জমির নির্ধারিত ভাড়া কাটা যাবে। জমিটি লিজ গ্রহণকারী ব্যবহার করবে। যখন ছেড়ে দিবে তখন কর্তনের পরে বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত দিয়ে জমি নিয়ে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ