মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এবার মনুষ্যবিহীন যান বা আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি) উন্নয়ন, পরিচালনা ও রফতানির ক্ষেত্রে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে তুরস্ক। দেশটি অদূর ভবিষ্যতে মিনি সাবমেরিন তৈরি ও এর ব্যবহারে সফলতার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিরক্ষা ও সামুদ্রিক গবেষক কোজান সেলচুক এরকান বলেছেন, যুদ্ধে তুরস্কের ড্রোন যেমন ‘গেম চেঞ্জার’-এর ভূমিকা পালন করে, তেমনি মিনি সাবমেরিনগুলোও সমুদ্রে গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে। ডেইলি সাবাহ।
তুরস্কের সাবমেরিন নির্মাণের পদক্ষেপগুলো তিনি ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করছেন। এই বিশেষজ্ঞ রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী টিআরটি হ্যাবারকে বলেছেন, সাবমেরিনের চেতনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি শান্ত এবং গভীর প্রক্রিয়া আমরা অনুসরণ করছি।
আঙ্কারা ১৯৮০-এর দশক থেকে চলমান সাবমেরিন নির্মাণ কার্যক্রমে যুক্ত। মিনি সাবমেরিন বাস্তবায়ন করলে সাবমেরিন শিল্প অনেক উচ্চস্তরে পৌঁছে যাবে। এরকান বলছেন, ছোট সাবমেরিনগুলো তাদের প্রকৃতির কারণে বিকাশ করা আরো কঠিন। কারণ অনেকগুলো সাবসিস্টেম ছোট আয়তনে তৈরি করতে হবে। তবে আমরা এমন কিছু তৈরি করতে এখন সক্ষম।
এরকান বলছেন, মিনি সাবমেরিন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হবে, যেখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। মিনি সাবমেরিন তৈরি ও ব্যবহারে তুরস্ক এমন একটি স্তরে পৌঁছাবে, যেখানে এই সাবমেরিন মোতায়েন থাকবে, সেই এলাকা বিদেশী নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত থাকবে। বলা হচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদে পানির নিচে থাকতে পারে এমন যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি মিনি সাবমেরিনে ব্যবহার করা হবে। এরকান বলছেন, এজিয়ান সাগরের মতো এলাকায় বড় সাবমেরিন দিয়ে কাক্সিক্ষত ফলাফল অর্জন করা সম্ভব না-ও হতে পারে। সেখানে মিনি সাবমেরিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গভীর সাগরে বড় সাবমেরিন কাজ করতে পারে; কিন্তু অগভীর বা বদ্ধ সমুদ্রে তা অকেজো।
এ জন্য মিনি সাবমেরিন অগভীর সাগরের জন্য নতুন বিপ্লব বয়ে আনবে। তিনি বলেছেন, প্রতিরক্ষা শিল্পে তুরস্কের উৎপাদিত পণ্যগুলো বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে জনপ্রিয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্ক সামরিক জাহাজ নির্মাণ শিল্পে শীর্ষস্থানে উঠেছে।
মিনি সাবমেরিনের ক্ষেত্রেও আমরা ঠিক কৌশলগত শ্রেণীর ইউএভির অবস্থানে আছি। যখন তুরস্ক কৌশলগত শ্রেণীর ড্রোন তৈরি করতে শুরু করেছিল, তখন বিশ্বে কেবল বড় ও ব্যয়বহুল ড্রোন ছিল। আঙ্কারা সঠিক সময়ে বিশ্বের এই বাজারটিকে আলোকিত করেছে। এরকান বলেন, বিশ্বের অনেক দেশই সাবমেরিন রাখতে চায়; কিন্তু পরিচালন ব্যয়ের বোঝা বইতে পারে না। আমরা মিনি সাবমেরিন তৈরি করে বাজারটি ধরতে চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।