২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
মেথি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। শুধু শরীর নয়, ত্বক ও চুলের যত্নেও খুবই কার্যকরী এক উপাদান হলো মেথি।
জানেন কি, রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখা থেকে শুরু করে রক্তচাপ ও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, চুল পড়া রোধ, রক্তাল্পতার সমস্যায় মেথি ‘সুপার ফুড’ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মেথিতে থাকে ফলিক অ্যাসিড, রিবোফ্লাভিন, কপার, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজসহ অসংখ্য উপকারী উপাদান।
এ ছাড়াও এতে আছে ভিটামিন এ, বি ৬, সি, কে-এর মতো অনেক পুষ্টির উৎস। বেশ কিছু গবেষণায় ও অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসায় মেথির কার্যকারিতা প্রমাণ করা হয়েছে।
এই ভেষজ উপাদান শরীরের গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় রাখে। এমনকি শরীরের বাড়তি কার্বোহাইড্রেট শোষণ করে শরীর সুস্থ রাখে।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মেথি রাখলে কঠিন রোগ থেকে মুক্তি মেলে, এমনটিই জানিয়েছেন ভারতীয় আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. দীক্ষা ভাবসার। তিনি এই জাদুকরী ভেষজের উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন-
> প্রতিদিন সারারাত ভেজানো মেথির পানি খালি পেটে খেলে খিদে ও হজমশক্তি বাড়াবে। এ ছাড়াও যে কোনো খাবারের সঙ্গেই রাখতে পারেন মেথি।
> মেথি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি কোলেস্টেরল ও রক্তচাপের মাত্রাও বজায় রাখতে সাহায্য করে।
> চুল পড়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। জানেন কি, মেথি চুল পড়াও রোধ করে।
> ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে মেথি। রক্তের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বার করে দিয়ে রক্ত পরিষ্কার রাখে।
> কোষ্ঠকাঠিন্য, শরীরে ফোলাভাব, পেশির ব্যথা, হাঁটুর গিঁটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে যদি নিয়ম করে খেতে পারেন মেথি।
> এমনকি কাশি, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, বুকে কফ জমা ইত্যাদি ঠান্ডা লাগাজনিত সমস্যাও সারায় মেথিতে থাকা পুষ্টি উপাদানসমূহ।
কীভাবে ব্যবহার করবেন মেথি বীজ?
১. ১-২ টেবিল চামচ মেথি বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ওই পানি খেতে পারেন। চাইলে ওই পানি ফুটিয়ে চা তৈরি করেও পান করতে পারেন।
২. মেথির গুঁড়া দিনে দুবার খাবারের আগে বা রাতে গরম দুধ বা পানির সঙ্গে পান করুন।
৩. এই বীজ বেটে কিংবা ব্লেন্ড করে দই বা অ্যালোভেরা জেল কিংবা পানি মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ও চুলে ব্যবহার করলেই খুশকি, চুল পড়া, পাকা চুলের সমস্যা মিটবে।
৪. গোলাপজল দিয়েও তৈরি করতে পারেন মেথির পেস্ট। এটি ব্যবহারে চোখের নিচের কালো দাগ, ব্রণ, ব্রণের দাগ ও বলিরেখা সারবে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।