মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের মতোই ২৬ জানুয়ারিও প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গর্বের দিন। দীর্ঘ আন্দোলনের পর ১৯৪৭ সালে ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। এরপর ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয় ভারতের সংবিধান। সেই সূত্র ধরেই ২৬ জানুয়ারি পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে। দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজ, বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয় দিনটি। এবছর ভারতের ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস।
নয়াদিল্লিতে এখন সাজ সাজ রব। চলছে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের মহড়া ও শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কোভিড পরিস্থিতির কারণে গত দুবছর ধরে প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের অনুষ্ঠানে কিছু কাঁটছাঁট করা হলেও কমেনি জৌলুস। এবছর ২৬ জানুয়ারি কাজাখস্তান, কিরগিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান থেকে বিশিষ্টজনেরা আসবেন এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে এবছর ২৪ হাজারের বদলে রাজপথে মাত্র আট হাজার মানুষকে জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এবছর ১৫ বছরের নীচে কোনও শিশু এবং ভ্যাকসিন নেননি এমন মানুষ কুচকাওয়াজে অংশ নিতে পারবেন না।
স্বাধীনতা দিবসের প্রায় আড়াই বছর পর তৈরি হয়েছিল ভারতের সংবিধান। ১৯৪৭ সালে ড. বি আর আম্বেডকরের নেতৃত্বে গঠিত হয় খসড়া কমিটি। ১৯৪৭ সালে ৪ নভেম্বর ড: বি আর আম্বেদকরের নেতৃত্বাধীন খসড়া কমিটি প্রথম ভারতীয় সংবিধানের খসড়া জমা দিয়েছিল। পরে ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ সালে এই সংবিধান দেশবাসীকে অর্পিত করা হয়। ২৬ জানুয়ারি দিনটিকে মহাত্মা গান্ধী নাম দিয়েছিলেন, 'স্বতন্ত্রতা সংকল্প দিবস'। ১৯২৯ সালের বছর শেষে পূর্ণ স্বরাজ আনার শপথ নেওয়া হয় পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে। এরপরেই ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে ভারত এবং ওই দিনটি স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা পায়।
উল্লেখ্য, এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিশিষ্ট অতিথিদের উপর হামলার ছক কষেছে আতঙ্কবাদীরা, এমনই তথ্য পেয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাসংস্থাগুলি। সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার তরফে একটি নয় পাতার রিপোর্ট তৈরি করা হয়। এই রিপোর্টে বলা হয়, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী এবং বিশিষ্ট অতিথিদের উপর হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা। ফলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।