মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বুরকিনা ফাসোতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে গুলির লড়াই। বিদ্রোহী সেনারা বিভিন্ন সেনাশিবিরে গুলি চালিয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, কোনো সেনা অভ্যুত্থান হয়নি। কিন্তু রোববার রাতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে প্রবল গুলির লড়াই হয়েছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, যখন এই লড়াই চলছিল, তখন একটি হেলিকপ্টার আলো বন্ধ করে উড়ে গেছে।
রোববার সকালে বুরকিনা ফাসোতে একাধিক সেনা শিবিরে গুলির শব্দ শোনা যায়। তার মধ্যে রাজধানীর দুইটি সেনাশিবিরও আছে। বিদ্রোহী সেনারা একটি শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এখানেই সেনাপ্রধানের বাড়ি ও জেল আছে। ওই জেলে ২০১৫ সালের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত সেনাদের রাখা হয়েছে।
গুলির শব্দ থেকেই আতঙ্ক দেখা দেয়। আবার অভ্যুত্থানের চেষ্টা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। সরকার যেভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির মোকাবিলা করছে, তা নিয়ে মানুষের মনে একটা হতাশা ছিলই, গুলির শব্দে তার সঙ্গে ভয়ও যুক্ত হয়।
সরকার জানিয়েছে, রোববার ভোরে গুলি চলেছে। কিন্তু সেনা অভ্যুত্থানের খবর তারা অস্বীকার করেছে। সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট থেকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, সেনা শাসনভার দখল করে নিয়েছে। কিন্তু সেরকম কিছু হয়নি। সকলে যেন শান্ত থাকেন।
রোববার রাতে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রেসিডেন্টকে আটক করার খবরও মিথ্যা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাতীয় টেলিভিশনে বলেছেন, কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে মাত্র। কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান দখল করা হয়নি। সরকার জানিয়েছে, রোববার রাত আটটা থেকে কার্ফিউ জারি করা হয়েছে।
রাজধানীর পশ্চিমদিকের একটি এলাকায় এক সেনা সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, রাত একটা থেকে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ক্রমশ গুলির শব্দ বেড়েছে। রাজধানীর দক্ষিণ দিকে একটি সেনাশিবিরে ও বিমানঘাঁটিতে বিদ্রোহ হয়েছে বলে সেনা সূত্র জানিয়েছে। বাসিন্দারা সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, উত্তরদিকের দুইটি শহর থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে।
সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, সেনার দাবি ছিল, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট গুলি, বারুদ সহ পরিকাঠামো তাদের দিতে হবে। তাছাড়া তাদের দাবি ছিল, সর্বোচ্চ পর্যায়ের জেনারেলদের সরিয়ে নতুন অফিসার নিয়োগ করতে হবে। আর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াই মৃত সেনার পরিবারকে ও আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর জেহাদিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে না পারায় সাধারণ মানুষ সরকারের উপর ক্ষুব্ধ। সূত্র: এপি, এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।