Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পুরনো ইমেইল খুঁজতে গিয়ে মিলল ২৬ কোটি টাকা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২২, ২:৫৬ পিএম

পুরোনো ইমেইল খুঁজতে স্পাম ফোল্ডারে ঢুকেছিলেন এক নার্স। আর তাতেই তার কপাল খুললো। মিলল ২৬ কোটি টাকা। সাধারণ একজন নার্স থেকে হয়ে গেলেন কোটিপতি। কিভাবে সেটি সম্ভব হলো? চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটিই উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে।

সাধারণত ইমেইল’র স্পাম ফোল্ডারে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার প্রচারকেন্দ্রিক মেইল জমা হয়। এই মেইলগুলো নিজে থেকেই ঢুকে যায় স্পাম ফোল্ডারে, যাতে জরুরি ইমেইল খুঁজতে ব্যবহারকারীর অসুবিধা না হয়। তবে এ ক্ষেত্রে ওই স্পাম ফোল্ডারেই লুকিয়ে ছিল ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের লটারি জেতার খবরটিও। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৬ কোটি টাকা।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা লরা স্পিয়ার্স পেশায় একজন নার্স। গত ৩১ ডিসেম্বর ওই লটারির টিকিট কেটেছিলেন তিনি। লরার কাটা টিকিটের নাম্বারটিই লটারির ড্রতে সর্বোচ্চ পুরস্কারও পায়। কিন্তু লরা নিজেই ভুলে গিয়েছিলেন মহা মূল্যবান ওই টিকিটের কথা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওকল্যান্ড কাউন্টির বাসিন্দা লরা জানিয়েছেন, তিনি আগে কখনও লটারির টিকিট কাটেননি। বছরের শেষ দিনে হঠাৎ ঝোঁকের মাথাতেই ওই টিকিটটি তিনি কেটে ফেলেন। ৫৫ বছর বয়সী লরার কথায়, ‘আমি শুনছিলাম মিশিগান লটারির মেগা মিলিয়ন ড্রয়িংয়ে অনেকেই পুরস্কার পাচ্ছেন। তাই আমিও একটা টিকিট কিনে নিয়েছিলাম।’
প্রায় ১৫ দিন পরও তার ইনবক্সে কোনো ইমেইল না আসায় লরা ভেবেছিলেন, তার টিকিটটি পুরস্কার জেতেনি। এক বন্ধুর কাজের প্রয়োজনেই পুরনো ইমেইল খুঁজতে স্পাম বক্সে ঢুকেছিলেন লরা। সেখানেই লটারি জেতার ইমেইলটি আবিষ্কার করেন।
লরার টিকিটের নাম্বার ছিল ২-৫-৩০-৪৬-৬১। লটারি সংস্থা জানিয়েছে, পাঁচটি নাম্বারই মিলে যায় লাকি ড্রয়ে। যার ফলে লটারির সর্বোচ্চ পুরস্কার ৩০ লাখ ডলার পেয়ে যান লরা।

পুরস্কার পাওয়ার পরের মুহূর্তটি লরার বিশ্বাসই হচ্ছিল না। তার ভাষায়, ‘টিকিটের নাম্বারটি পড়ার পরও আমি সেটি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তাই আবারও নিশ্চিত হতে আমি আমার লটারি অ্যাকাউন্টে লগ ইন করি। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে, আমি আসলেই ৩০ লাখ ডলার পুরস্কার পেয়েছি।’
অবশ্য বিশ্বাস করতে পারুক আর না পারুক লটারির পাওয়ার পর তিনি কী করবেন জানতে চাওয়া হয়েছিল লরার কাছে। লরা বলেছেন, আগে আমার ইমেইলের সেটিংস পরিবর্তন করবো। যাতে ভবিষ্যতে আর লটারি জেতার খবর মিস না হয়ে যায়!

তবে বড় অংকের এই পুরস্কার পাওয়ার পর এখন আগেভাগেই চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার কথা চিন্তা করছেন পেশায় নার্স ৫৫ বছর বয়সী এই নারী। একইসঙ্গে পরিবারের সঙ্গে পুরস্কারের অর্থ ভাগাভাগি করে নেওয়ার পরিকল্পনাও করছেন তিনি। সূত্র : ডেইলি মেইল



 

Show all comments
  • Al amin sheikh parves ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:১৫ পিএম says : 0
    God has helped. That's why you become the owner of so many dollar even if you don't want to. Best of luck,,,
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ