প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘকে (৩৩) পুলিশ মদ্যপ অবস্থা ও অসদাচরণ করায় আটক করা হয়েছে জানা গেলেও স্পর্শিয়া তা অস্বীকার করছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলছেন, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বাসায় ফেরার পথে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি মোড় ঘোরানোর কথা বলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলেও গাড়িতে অতিরিক্ত গতি ছিলো না। এমনকি তিনি (স্পর্শিয়া) এবং তার বন্ধু কেউই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন না।
ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে গিয়ে স্পর্শিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ফিরছিলাম। রাজধানীর সাতমসজিদ রোডের মোড়ে গাড়ি ঘোরানোর সময় পুলিশ গাড়ি থামিয়ে বলে, যেভাবে টার্ন নিয়েছেন এর ফলে গাড়ি সিএনজিতে লাগতে পারতো। তখন আমরা বলেছি, সিএনজিতে তো লাগেনি। কথোপকথনের একপর্যায়ে অর্ঘ্য পুলিশকে বলে, আমরা গাড়িটা পার্ক করি পরে আপনাদের সাথে সমস্যা নিয়ে কথা বলি। পরে গাড়ি পার্ক করে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে অর্ঘ্য। পুলিশ কাগজ দেখতে চেয়েছে এবং তা দেখানো হয়। সে সময় পুলিশ তাদের গাড়িটিও তল্লাশি করে কিন্তু কিছুই (নেশাজাতীয় দ্রব্য) পায়নি।
সেসময় স্পর্শিয়া ৩০ থেকে ৪০ মিনিট গাড়িতে বসা ছিলেন বলে জানান। তিনি বলেন, একটা সময় আমি গাড়ি থেকে নামি এবং কী সমস্যার জন্য এতসময় আটকে রেখেছেন সে বিষয়ে জানতে চাই। তখন পুলিশ বলে, আপনাকে জবাবদিহি করতে বাধ্য না, যদি বলি ৬ ঘণ্টা বসে থাকতে হবে তাহলে ৬ ঘণ্টাই বসে থাকতে হবে ইত্যাদি।
এ সময় অন্য এক পুলিশ এসে স্পর্শিয়াকে বাসায় চলে যাওয়ার অনুরোধ জানালে বন্ধু অর্ঘ্যকে ফেলে বাসায় যাবো না বলেও জানান তিনি।
গাড়ি অতিরিক্ত গতিতে ছিলো না, মদ্যপ ছিলাম না, গাড়ির কাগজ ঠিক আছে, গাড়িতে কোনো কিছু পায়নি তাহলে এতক্ষণ কেন আটকে রাখা হবে কেন এটা নিয়ে আমি একটু রাগান্বিত হয়ে পড়ি জানিয়ে স্পর্শিয়া বলেন যে, এখন কী করতে চান সেটা করেন। অনেক হয়েছে। একঘণ্টা যাবত এসব হচ্ছে, আমি এখানে বসলাম কী করবেন সেটা করেন। তখন আমার বন্ধুও পুলিশকে একই কথা বলে। রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত পুলিশ রাস্তায় আটকে রাখে। অনেকক্ষণ যাবত পুলিশরা কথা বাড়াচ্ছিলেন। ওরা (পুলিশ) বোধহয় আমাদের টেম্পার লুস হোক সেটাই চাচ্ছিলেন। পরে আমি রাগান্বিত হয়ে রাস্তায় বসে গেছি।
অর্ঘ্যকে থানায় নিয়ে চাইলে ওই মুহূর্তের বর্ণনা দিয়ে স্পর্শিয়া বলেন, অর্ঘ্য বলে, যেহেতু ও (স্পর্শিয়া) একটা মেয়ে রাতে সে কিভাবে যাবে।, ফলে আমি ও’কে (স্পর্শিয়াকে) বাসায় নামিয়ে দিয়ে থানায় আসছি। অথবা আপনারা গাড়ি থানায় নিয়ে যান, আমি ওকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে থানায় এসে কথা বলি। তখন পুলিশ বলে- না, আপনি এখনই চলেন, উনি (স্পর্শিয়া) একই চলে যাক।
গাড়িতে স্পর্শিয়া এবং তার বন্ধু ছিলেন। পরে ফোন পেয়ে তার চাচাতো ভাইসহ আরও অনেকেই ঘটনাস্থলে আসেন।
থানায় প্রায় রাত আড়াইটা পর্যন্ত ছিলেন জানিয়ে স্পর্শিয়া বলেন, থানার এসি বলেছিলেন তাঁর গাড়ি দিয়ে আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসতে। কিন্তু আমি বলেছি, বন্ধুকে রেখে আমি একা যাব না। কিন্তু গণমাধ্যমে নিউজ হচ্ছে, আমি নাকি মদ্যপ ছিলাম, ধরে নিয়ে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি! এসব তথ্য অসত্য বলেও জানান স্পর্শিয়া।
এদিকে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে প্রাঙ্গনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গাড়িতে স্পর্শিয়া ছিলেন। তারা পুলিশের সঙ্গে অসদাচারণ করার কারণে থানায় নেওয়া হয়েছিল। রাতেই মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।