Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন করে আসন বিন্যাস, ঢাবিতে কোন বিভাগে কত সিট

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:০২ এএম

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসনসংখ্যার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ৪৪ বিভাগ-ইনস্টিটিউটে আসন কমানো ও ১৫টিতে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রায়োগিক বিষয়গুলোতে আসন বাড়ানো ও মৌলিক বিষয়গুলোতে কমানো বা অপরিবর্তিত রাখার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনার পর আসন কমানোর বিষয়টি সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনভিত্তিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে বেকারত্ব কমিয়ে আনার জন্য আসন কমানোর উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ছিল ৭ হাজার ১২৫টি৷ ডিনস কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে আসনসংখ্যা হবে ৬ হাজার ১১০। অর্থাৎ ১ হাজার ১৫টি আসন কমবে।

বিজ্ঞান বিভাগে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিতকে মৌলিক বিষয় হিসেবে ধরা হয়। এ ছাড়া উদ্ভিদবিজ্ঞান-প্রাণিবিদ্যাও অন্যতম মৌলিক বিষয়। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞানে দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসকে মৌলিকের তালিকায় ফেলা হয়। ডিনস কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে শুধু অর্থনীতি ছাড়া মৌলিক বিষয়গুলোতে হয় আসন কমবে অথবা অপরিবর্তিত থাকবে৷ তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, তথ্যপ্রযুক্তি, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ প্রভৃতি প্রায়োগিক বিষয়ে অবশ্য আসন বাড়বে৷ তবে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ৮টি বিভাগে আসন কমতে পারে।

কোন অনুষদে কত বাড়ছে-কমছে
সুপারিশ অনুযায়ী, কলা অনুষদে ৫১৫টি কমে আসনসংখ্যা ১ হাজার ৮৭৫ থেকে ১ হাজার ৩৬০ হতে পারে। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ২০০ আসন কমে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৫০ হতে পারে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ১৫৭টি কমে আসনসংখ্যা ১ হাজার ২২২ থেকে ১ হাজার ৬৫ করার সুপারিশ করা হয়েছে। জীববিজ্ঞান অনুষদে ৯০টি কমে আসনসংখ্যা ৫৮৫ থেকে ৪৯৫ হতে পারে। বিজ্ঞান অনুষদে আসনসংখ্যা ২টি বেড়ে ৪৬৮ থেকে ৪৭০ হতে পারে৷ আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষতে আসনসংখ্যা ১০টি কমে ২৪৫ থেকে ২৩৫ হতে পারে।


ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদে ১০টি আসন বাড়িয়ে ২৩৫ থেকে ২৪৫ করার সুপারিশ করেছেন ডিনরা। চারুকলা অনুষদে ৫টি আসন কমে ১৩৫ থেকে ১৩০ করা হতে পারে। আইন অনুষদে ২০টি কমে আসন হতে পারে ১১০টি। ফার্মেসি অনুষদে ১০টি বাড়িয়ে আসন ৬৫ থেকে ৭৫ করা হতে পারে। অন্যদিকে ১০টি ইনস্টিটিউটে ৪০টি আসন কমিয়ে ৯১৫ থেকে ৮৭৫ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

যেসব বিভাগে আসন কমতে পারে
ডিনস কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, কলা অনুষদের বাংলা বিভাগে ১২টি আসন কমে ১৩২ থেকে ১২০, ইংরেজিতে ৩০টি কমে ১৫০ থেকে ১২০, আরবিতে ৫০টি কমে ১৫০ থেকে ১০০, ফারসি ভাষা ও সাহিত্যে ২৫টি কমে ১০০ থেকে ৭৫, উর্দুতে ৪০টি কমে ১১০ থেকে ৭০, সংস্কৃতে ২৫টি কমে ১৬০ থেকে ১১০, পালি অ্যান্ড বুড্ডিস্ট স্টাডিজে ৪০টি কমে ৯০ থেকে ৫০, ইতিহাসে ২০টি কমে ১৩০ থেকে ১১০, দর্শনে ৫০টি কমে ১৭০ থেকে ১২০, ইসলামিক স্টাডিজে ৮৫টি কমে ১৮৫ থেকে ১০০, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে ৫০টি কমে ১৬০ থেকে ১১০, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় ১০টি কমে ৭৫ থেকে ৬৫, ভাষা বিজ্ঞানে ২০টি কমে ৯০ থেকে ৭০, সংগীতে ২০টি কমে ৮০ থেকে ৬০, বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতিতে ৪০টি কমে ১০০ থেকে ৬০ আর নৃত্যকলা বিভাগে ৫টি কমে ৩৫ থেকে ৩০ হবে।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ৯টি বিভাগের মধ্যে আটটিতেই আসন কমানোর সুপারিশ করেছে ডিনস কমিটি। এর মধ্যে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং ও ফিন্যান্সে ৩০টি করে আসন কমিয়ে ১৮০ থেকে ১৫০ আর ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ও ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে ১৫টি করে আসন কমিয়ে ১১৫ থেকে কমিয়ে ১০০ করার সুপারিশ করা হয়েছে। ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগে ৫০টি আসন কমিয়ে ১৫০ থেকে ১০০ করার কথা বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ