মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লকডাউনের সময় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে গার্ডেন পার্টি আয়োজনের ঘটনায় পদত্যাগের চাপ বাড়ছে বরিস জনসনের ওপর। তবে বুধবার পার্লামেন্টে জনসন সাফ জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করছেন না। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ২০২০ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যে জমায়েত ও পার্টি ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জনসনের সরকার। ওই সময় গার্ডেন পার্টিতে যোগ দিতে ইমেলের মাধ্যমে অতিথিদের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে আমন্ত্রণ জানানো হয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে সেই ইমেইল ফাঁস হয়ে যায়। এতেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন জনসন। বিরোধী দল লেবার পার্টি তার পদত্যাগ দাবি করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পার্লামেন্টে জনসন তার কর্মকাÐের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু বিরোধী দল লেবার পার্টিসহ ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির অনেক আইনপ্রণেতা নীতি ভঙ্গের দায়ে জনসনের পদত্যাগ দাবি করছেন। বুধবার কনজারভেটিভ পার্টির প্রভাবশালী নেতা ডেভিড ডেভিস পদত্যাগের আহŸান জানিয়ে জনসনকে বলেছেন, ‘ঈশ্বরের নামে বিদায় হন।’ অপর এক খবরে বলা হয়, বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘোষণা করেছেন, সে দেশে ওমিক্রনের আতঙ্কের সর্বোচ্চ পর্যায় পেরিয়ে গিয়েছে। তাই গতমাসে নতুন করে যেসব বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল, চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকেই সেসব প্রত্যাহার করা হচ্ছে। বরিস জানিয়ে দিয়েছেন, এতদিন ধরে যে সামাজিক দূরত্ববিধির যন্ত্রণা ব্রিটেনবাসীকে সহ্য করতে আসছিল, সেসব থেকেও এবার মুক্তি মিলবে। চলতি সপ্তাহ থেকেই আর ব্রিটেনবাসীকে পরতে হবে না মাস্ক। সামাজিক অনুষ্ঠান বা বার-রেস্তরাঁ কিংবা নাইট ক্লাবে যেতে হলে আর প্রয়োজন নেই কোভিড পাসের। বুধবার বরিসের ঘোষণার সময় থেকেই ব্রিটেনে আর ওয়ার্ক ফ্রম হোম বাধ্যতামূলক নয়। কাজের জন্য বা বিনোদনের জন্য বাড়ির বাইরে বেরনোতেও আর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। এর আগে স্পেনও ব্রিটেনের মতো সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ এই মুহ‚র্তে ইউরোপের দুটি দেশে কোনওরকম কোভিডবিধি মানতে হচ্ছে না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিসের দাবি, সরকারের বুস্টার ডোজ কর্মসূচির সাফল্যের জন্যই আজ সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৬০ বছরের ঊর্ধ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। তাছাড়া ব্রিটেনের বিজ্ঞানীদের দাবি, সেদেশে করোনা সংক্রমণ ইতিমধ্যেই পিক অর্থাৎ সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায় পেরিয়ে এসেছে। গত কয়েক সপ্তাহ লাগাতার সংক্রমণ কমছে। যদিও, ব্রিটেন যখন এই সমস্ত বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করছে তখনও সেদেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যব্যবস্থার উপর চাপও চরমে। তাহলে কেন এমন সিদ্ধান্ত? অনেকে বলছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা। লকডাউন চলাকালীন সদলবলে পার্টি করা নিয়ে যে বিতর্কে তিনি জড়িয়েছেন, তাতে জনসনের গদি টলমল। তাই নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বাঁচাতে সব বিধিনিষেধই তুলে দিতে চাইছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।