মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক সমীকরণ ক্রমশ বদলাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে প্রার্থী তালিকা করল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ পূর্বের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ১২৫ জনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। সেই তালিকায় একটি চমকও রয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা জানান, কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়বেন উন্নাওয়ের ধর্ষিতার মা আশা সিংও। কংগ্রেস নেত্রী বলেন, আমাদের প্রার্থী তালিকা থেকে এটা স্পষ্ট যে নাগরিকদের উপর নির্যাতন হলে কংগ্রেস পাশে দাঁড়াবে। এদিন তিনি জানিয়েছেন, প্রার্থীদের মধ্যে ৪০ শতাংশই মহিলা। অর্থাৎ কংগ্রেসের ১২৫ জনের মধ্যে ৫০ জন মহিলা প্রার্থী রয়েছেন। তার কথায়, ‘লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ।’ যার আক্ষরিক অর্থ, ‘আমি মেয়ে। লড়াই করতে জানি।’
২০১৭ সালে উন্নাওয়ের ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংকে দল থেকে বহিস্কার করা হয় ২০১৯ সালে। তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। উন্নাও ধর্ষন কাণ্ড একসময় সাড়া ফেলেছিল গোটা ভারতে। কারণ, ওই ঘটনায় নির্যাতিতা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন।
এরপরেই জানা যায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কুলদীপ সিংয়ের নাম। এদিকে ধর্ষিতার বাবাকে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযোগ, পুলিশি নির্যাতনের মুখে মারা যান তিনি। ২০২০ সালে নির্যাতিতার বাবার মৃত্যুর মামলায় কুলদীপ সিং সেঙ্গারের ১০ বছরের জেল হয় এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ওই ঘটনায় শোরগোল তৈরি হয়েছিল কেন্দ্র ও রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপিতে। ফলত এবারের হাইভোল্টেজ নির্বাচনে উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মা-কে টিকিট দেওয়ায় বাড়তি সুবিধা পেতে পারে কংগ্রেস। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এদিন বলেন, আমাদের প্রার্থী তালিকা থেকে এটা স্পষ্ট যে নাগরিকদের উপর নির্যাতন হলে কংগ্রেস পাশে দাঁড়াবে।
উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মায়ের পাশাপাশি সোনভদ্রের উম্ভা গ্রামে গোন্দ উপজাতির জন্য আইনি যুদ্ধে নামা রামরাজ গোন্দও কংগ্রেসের টিকিটে লড়বেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, উত্তরপ্রদেশের সামাজিক ইস্যুকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনী যুদ্ধ জিততে চাইছে কংগ্রেস।
অন্যদিকে, দলিত সহ অনগ্রসর শ্রেণীর নেতারা পরপর বিজেপি ছাড়ায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে অখিলেশ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টিও। শোনা যাচ্ছে, বিজেপি ছেড়ে সপায় যোগ দিতে চলেছেন ওই নেতারা। অন্যদিকে, যোগী শিবিরে ভাঙন অব্যাহত থাকায় বেশ চাপে পদ্ম শিবির। হিন্দুত্ববাদকে হাতিয়ার করেই শাসক হিসেবে টিকে থাকতে চাইছে বিজেপি। সূত্রের খবর, অযোধ্যা থেকেই লড়তে চলেছেন যোগী। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।