প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন। বর্তমান কমিটিতেও এ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। সমিতির নির্বাচন নিয়ে তার সাথে কথা হয়। সভাপতি পদে কেন নির্বাচন করছেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে শূটিং ও বিভিন্ন কাজ নিয়ে সারাবছর ব্যস্ত থাকতে হয়। সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে যে সময় দেয়া প্রয়োজন, তা দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আরেকটি কারণ হচ্ছে, বর্তমান মিশা ও জায়েদ খানের নেতৃত্বে যে কমিটি রয়েছে, তারা ভাল কাজ করছে। মিশা ও জায়েদ দুজনই শিল্পীদের স্বার্থে ও কল্যাণে অনেক কাজ করেছে, করে যাচ্ছে। তারা শিল্পীদের অসুস্থতা থেকে শুরু করে নানা সমস্যায় পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনার মধ্যে সমস্যায় পড়া শিল্পীদের সহায়তা করেছে। এমনকি, কোনো সদস্য মারা গেলে তার লাশ কাঁধে নিয়ে তাদের দাফন পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। তারা সিনিয়র-জুনিয়র সব শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়মিত খোঁজ-খবর নেয়। আমি তাদের এই কাজের সহায়ক হিসেবে কাজ করছি। তাছাড়া, ব্যক্তিগতভাবে আমার যতটুকু করার তা করতে চেষ্টা করেছি। যেহেতু মিশা-জায়েদ সমিতির মাধ্যমে শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করছে, তাই সমিতির নেতৃত্বে তাদের যোগ্য মনে করছি। আমি তাদের সর্বাত্মক সহায়তা ও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। ডিপজল বলেন, সবাই তো কাজ করে না, কেউ কেউ করে। শিল্পীরা ভাল করে জানে, কে কার পাশে দাঁড়ায় বা দাঁড়াবে। কার কাছে সহজে ছুটে যেতে পারবে, দেখা করতে পারবে। সালাম দিলে সালাম নেবে। স্যুট-কোট পরে চেয়ারে বসে থাকলে হবে না। নিজেকে শিল্পীদের সেবক ভাবতে হবে। সেবক হয়ে পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা ও বাস্তব কর্মকান্ড করতে হবে। মুখে মুখে কথা বললে হবে না। ডিপজল বলেন, আমরা যারা শিল্পী, তাদের প্রতি দেশের ষোল কোটি মানুষের আগ্রহ রয়েছে। কারণ, এই ষোল কোটি মানুষের মধ্যে আমরা চারশ’র মতো শিল্পী হয়েছি। তাদের ভালবাসাই আমাদেরকে শিল্পী বানিয়েছে। সবার পক্ষে শিল্পী হওয়া সহজ নয়। ফলে শিল্পী সমাজের নেতৃত্ব এমন হতে হবে, যারা শিল্পীর কল্যাণে কাজ করবে, শিল্পীর স্বার্থ দেখবে, তাদের সুখ-দুঃখের সাথী হবে। এখানে ভেদাভেদ করলে চলবে না। অন্যদিকে, শিল্পীদেরও তাদের মর্যাদা রক্ষায় সচেতন হতে হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে দর্শক হতাশ হয়। তিনি বলেন, আমার নির্বাচন করার ইচ্ছা না থাকলেও, করতে হবে। করতে হবে, আমার দায়িত্ববোধের কারণে। আমি নিজে শিল্পী, ফলে শিল্পীদের কাছ থেকে দূরে থাকতে পারি না। বাস্তবতা হচ্ছে, সব শিল্পী সামর্থ্যবান নয়। অনেকের কাজ নেই। তাদের পাশে আমার থাকা প্রয়োজন বলে মনে করি। আগেও ছিলাম, এখনও আছি, ভবিষ্যতেও থাকব। সমিতির এমন কোনো কাজ নেই, যার সাথে আমি যুক্ত ছিলাম না। সমিতি এবং সদস্যদের কল্যাণে সাধ্যমতো হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমি মনে করি, মিশা ও জায়েদ ভালো কাজ করেছে এবং করছে, তাদের সমর্থন দেয়া উচিৎ। এ চিন্তা থেকে নির্বাচন করব। তিনি বলেন, আমরা সবশিল্পী এক পরিবার। পরিবারের সবার চিন্তা-ভাবনা একরকম হয় না, মতপার্থক্য থাকে, এটাই স্বাভাবিক। তবে সমিতির স্বার্থে সবার চিন্তা-ভাবনাকে একসূত্রে গাঁথার জন্য কর্মঠ নেতৃত্ব প্রয়োজন। মিশা-জায়েদ কমিটি এ কাজটি করছে এবং এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখা দরকার। তাদের কাজের এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য এবারের নির্বাচনে অনেক সিনিয়র শিল্পী এগিয়ে এসেছেন। রোজিনা, অঞ্জনা, সুচরিতা, অরুণা বিশ্বাস, মৌসুমী, বাপ্পারাজ, রুবেল, আলীরাজ, সুব্রতসহ আরো অনেকে আমাদের প্যানেলের সঙ্গে আছেন। এছাড়া আরও সিনিয়র শিল্পী সমর্থন দিচ্ছেন। ভালো কাজ করেছে বলেই তারা আমাদের প্যানেলের সাথে রয়েছেন এবং সমর্থন দিচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।