বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জ নিহতের ঘটনায় এজাহারের ৩ নম্বর আসামী খাইরুল ইসলাম (৪৮) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার ফাঁপোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত খাইরুল শহরের ডাবতলার মোড় এলাকার মৃত রহমান ফকিরের ছেলে। নিহত আরেঞ্জ এর মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পোস্ট মোটামের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলার ৭ নং আসামী টিপুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে র্যাব ১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার সোহরাব হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল। তাকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সেলিম রেজা বেলা সাড়ে ১১ টায় জানান, আরেঞ্জ হত্যাকান্ডে খায়রুল ইসলামসহ দুইজন গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে ৭ নং আসামি টিপুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেঞ্জ এর মরদেহ মঙ্গলবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে এর আগে গত ২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মালগ্রাম ডাবতলার মোড়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন মালগ্রাম দক্ষিণপাড়ার রেজাউল ইসলামের ছেলে অরেঞ্জ এবং একই এলাকার মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আপেল। অরেঞ্জের চোখের নিচে আর আপেলের পেটে গুলি লাগে। এদের মধ্যে সংগঠনের জেলা কমিটির সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক অরেঞ্জকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) হয়। সেখানে ৮দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার রাত ১১টার দিকে অরেঞ্জ মারা যান। এছাড়া এ ঘটনায় আহত আপেল নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।