মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের উত্তরপ্রদেশের ভোটপ্রচারে ৮০-২০-র গল্প শুনিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক।
উত্তরপ্রদেশের ভোটের লড়াই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্য, ''প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন অনেক এগিয়ে গেছে। লড়াইটা হচ্ছে ৮০ বনাম ২০-র।'' যোগীর ব্যাখ্যা, ''৮০ শতাংশ হলো জাতীয়তাবাদের সমর্থক, তারা উন্নয়নকে সমর্থন করে, আর এরাই বিজেপি-কে ভোট দেয়। এর উল্টোদিকে আছে ২০ শতাংশ, যারা মাফিয়া, অপরাধীদের সমর্থক, যারা কৃষক-বিরোধী।'' যোগী জানিয়েছেন, ''এই ২০ শতাংশ অন্যদিকে যাবে। তাই এটা ৮০-২০-র লড়াই। আর এই লড়াইয়ে পদ্মই জয়ী হবে। ১০ মার্চ ভোটগণনার পর বোঝা যাবে, ২০ শতাংশের ভোট কোনদিকে গেছে।''
রাজনীতিতে একটা চালু কথা আছে, রাজনীতির অঙ্ক এবং স্কুলপাঠ্য বইয়ের অঙ্ক আলাদা। প্রয়াত রাজনীতিক ও সাবেক মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ প্রায়ই একটা কথা সংসদে বলতেন, রাজনীতিতে দুইয়ের সঙ্গে দুই যোগ করলে সবসময় যে চার হবে তার কোনো মানে নেই। ২২-ও হতে পারে। যোগী আদিত্যনাথের এই রাজনীতির অঙ্ক নিয়ে তাই শুরু হয়েছে জল্পনা ও বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, কেন এই কথা বললেন আদিত্যনাথ?
লোকমত পত্রিকার রাজনৈতিক সম্পাদক শরদ গুপ্তা জানিয়েছেন, ''উত্তরপ্রদেশে হিন্দু-মুসলিমদের সংখ্যার সঙ্গে যোগীর ৮০-২০-র তত্ত্ব অনেকটাই মিলে গেছে। যোগী-রাজ্যে ৭৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ হিন্দু এবং ১৯ দশমিক ২৬ শতাংশ মুসলিম আছেন। তাছাড়া শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ ক্রিশ্চান ও শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ শিখ আছেন। তাহলে কি যোগীর অঙ্ক হিন্দু-মুসলিমদের সংখ্যার কথাই বলছে?''
বিজেপি নেতারা অন্য ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। বিজেপি নেতা অলোক ভাট এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ''এর সঙ্গে হিন্দু-মুসলিমের সংখ্যার কোনো যোগ নেই।'' তার ব্যাখ্যা, ''যোগীজি যে ২০ শতাংশের কথা বলেছেন, তার মধ্যে নয় শতাংশ হলো অপরাধী ও অসামাজিক, সাড়ে তিন শতাংশ হলো জমি-দখলকারী, দুই শতাংশ হলো নারী নির্যাতনকারী, দুই শতাংশ পাকিস্তানপন্থি এবং দেড় শতাংশ 'বন্দে মাতরম' বিরোধী।'' অলোক ভাট জানিয়েছেন, এই হিসাব তিনি সামাজিক মাধ্যম থেকেই পেয়েছেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেছেন, ''ঘৃণাকে পরাজিত করার সেরা সুযোগ এটাই।'' আর কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এবং মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং বলেছেন, ''যোগী নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। আচরণবিধি অনুসারে কোনো দল বা প্রার্থী ধর্ম, জাতি, ভাষা, সম্প্রদায়ের মানুষের মনে বিদ্বেষ বা বিবাদ হয় এমন কিছু বলতে বা করতে পারবেন না।'' সূত্র: পিটিআই, এএনআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।