যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
একটি সাধারণ সর্দির বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষাগুলিও কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কিছুটা সুরক্ষা দিতে পারে, গবেষণা পরামর্শ দেয়। ন্যাচারাল কমিউনিকেশন্স জার্নালে এই গবেষণা প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। গবেষণাটি করেন ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকেরা।
গবেষকেরা বলেছেন, সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশির মতো ভাইরাস থেকে শরীরে উৎপন্ন উচ্চ মাত্রার টি-সেল করোনার সংক্রমণ থেকে মানুষকে প্রাকৃতিকভাবে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। যুক্তরাজ্যের ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এই গবেষণা ভবিষ্যতে করোনার টিকা তৈরিতে সহায়তা করতে পারে।
গত সেপ্টেম্বরে করোনা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকেরা। সাধারণ ভাইরাসজনিত সর্দি-জ্বরে আক্রান্তের ফলে ৫২ জনের শরীরে উৎপন্ন টি-সেলের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা। গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শের পরও আগে থেকেই শরীরে উচ্চ মাত্রায় টি-সেল থাকায় ৫২ জনের মধ্যে ২৬ জন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পান।
গবেষণার লেখক রিয়া কুণ্ডু বলেছেন, ‘আমরা মানুষের শরীরে আগে থেকে বিদ্যমান উচ্চ মাত্রার টিল-সেল খুঁজে পেয়েছি, যা সাধারণ সর্দির মতো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে সেগুলো শরীরে উৎপন্ন হয়েছে। এই টি-সেল কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।’ তবে গবেষকেরা সতর্ক করে বলেন, সম্প্রতি জ্বর-সর্দি থেকে সেরে উঠেছেন, তাই আর করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি একেবারে নেই, এমনটা ভাবলে ‘বড় ধরনের ভুল’ হবে।
এদিকে সিএনবিসি গতকাল জানায়, ইউনিভার্সিটি অব সাইপ্রাসের বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক লিওনডিওস কসট্রিকিস স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটির সংবাদমাধ্যমের কাছে ডেলটাক্রন নামের করোনার নতুন ও মিশ্র একটি ধরন শনাক্ত হওয়ার খবর জানান। লিওনডিওস সাইপ্রাসের ল্যাবরেটরি অব বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড মলিকিউলার ভাইরোলজিরও প্রধান। তিনি বলেন, এখন অমিক্রন ও ডেলটার সহসংক্রমণ চলছে। তারা করোনার এমন একটি নতুন ধরন শনাক্ত করেছেন, যেটি অমিক্রন ও ডেলটার সংমিশ্রণ। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।