মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে এক দিনে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা এক লাখ ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে, যা গত বছরের মে মাসের পর সর্বোচ্চ। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজারের বেশি।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মোট এক লাখ ৭৯ হাজার ৭২৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্য ২৭টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ওমিক্রনের রোগী শনাক্ত হয়েছেন চার হার ৩৩ জন। দৈনিক শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। আর সাপ্তাহিক গড় হিসেবে শনাক্ত রোগী বেড়েছে ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সব মিলিয়ে ভারতে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৫৭ লাখ ১০ হাজারে। রোববার আরও ১৪৬ জনের মৃত্যুতে মহামারী শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের মোট সংখ্যা চার লাখ ৮৩ হাজার ৯৩৬ জনে পৌঁছেছে। মহামারীতে সবচেয়ে নাজুক দশায় পড়া রাজ্যগুলোর মধ্যে মহারাষ্ট্রে রোববার ৪৪ হাজার ৩৮৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এ রাজ্যে এ পর্যন্ত মোট ৬৯ লাখ ২০ হাজার ৪৪ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার থেকে সুইমিং পুল এবং জিমগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কোভিড টিকার পূর্ণ দুই ডোজ নেওয়া কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরাই কেবল বেসরকারি অফিসগুলোতে যেতে পারবেন। কর্মক্ষেত্রে কর্মী সংখ্যাও অর্ধেকে নামিয়ে আনতে বলা হয়েছে। পাশের রাজ্য গুজরাটে রাত্রিকালীন কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ানো হয়েছে এবং সকল স্বাস্থ্যকর্মীর ছুটি বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে সোমবার থেকে চিকিৎসাকর্মীসহ সম্মুখ সারির যোদ্ধা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের কোভিড টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে ভারত। ১৩০ কোটি মানুষের এই দেশে এ পর্যন্ত ১৫১ কোটি ৯৪ লাখ ডোজেরও বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের দাপটে গতবছর মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ভারতকে। এর মধ্যে ৭ মে রেকর্ড ৪ লাখ ১৪ হাজার রোগী শনাক্ত হয়। সে সময় হাসপাতালগুলোতে রোগীর উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে ট্রলি আর হুইলচেয়ারে রেখেও রোগীদের চিকিৎসা দিতে দেখা যায়। অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সঙ্কট তীব্র হয়ে ওঠে; অক্সিজেনের অভাবে অনেকের মৃত্যুও হয়। সেই পরিস্থিত সামলে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিল ভারত, দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার নেমে এসেছিল ২ শতাংশের নিচে। কিন্তু নভেম্বরের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন পুরো বিশ্বের মত ভারতকেও নতুন করে আতঙ্কে ফেলে দিয়েছে। সূত্র : রয়টার্স, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।