Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিপিএল মাঠে গড়াচ্ছে ৩ ফেব্রুয়ারি

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৪৭ পিএম

ঘরোয়া ফুটবলের দ্বিতীয় টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপের খেলা মাত্রই শেষ হয়েছে। ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্যদিয়ে রোববার পর্দা নেমেছে এই টুর্নামেন্টের। এখন পালা সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মাঠে গড়ানোর। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পেশাদার লিগ কমিটির আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাসে বিপিএলের খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হচ্ছেনা। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠে গড়াবে বিপিএলের ১৪তম আসর। সোমবার লিগ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ মাসেই রয়েছে ফিফা প্রীতি ম্যাচ। আগামী ২৪ ও ২৭ জানুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হবে ম্যাচ দু’টি। জাতীয় দলের নব-নিযুক্ত স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার অধীনে দল যাতে কিছুদিন অনুশীলনের সুযোগ পায়, সেই ভাবনাতেই লিগ আগামী মাসে নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে সোমবার এ তথ্য জানান লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শদী। তিনি বলেন, ‘নতুন কোচ যাতে কয়েকদিন অনুশীলন করাতে পারেন, তাই ক্লাবগুলার অনুরোধে লিগ কিছুদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্লাবগুলো পূর্ণ সূচি ও ভেন্যু চেয়েছে। যা ঠিক করতে কয়েকদিন সময় লাগবে।’ রাজধানী ঢাকার কাছাকাছি ৬ ভেন্যুতে এবার বিপিএলের খেলা হবে। তবে ভেন্যু নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসেনি লিগ কমিটি। তারা পরবর্তী সভাতে তা চূড়ান্ত করবে বলে জানান সালাম মুর্শেদী।

প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্তর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ (বিসিএল) নিয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে। আসন্ন বিসিএলে অংশ নেবে বাফুফের একাডেমি দল। সেই একাডেমি দল পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেও বিপিএলে খেলতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে সালাম মুর্শেদী বলেন,‘অনুশীলনের পাশাপাশি ম্যাচ খেলা প্রয়োজন বিধায় আমাদের একাডেমি দলকে বিসিএলে খেলানো হচ্ছে।’

এদিকে বাংলাদেশ ফুটবলে রেফারিং বিতর্ক দীর্ঘদিনের। সদ্যসমাপ্ত ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে সেই বিতর্ক আরো বেশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে সেমিতে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের পেনাল্টি বাতিলের বিষয়টি নিয়ে এখনও আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। তাই রেফারিং নিয়ে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব রোববার বাফুফে বরবার দু’টো দাবি পেশ করেছে। তাদের প্রথম দাবিটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোর জন্য সাফ অঞ্চল থেকে বিদেশি রেফারি আনার। সালাম মুর্শেদী লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের পাশাপাশি রেফারিজ কমিটিরও প্রধান। বিদেশি রেফারি দিয়ে লিগের খেলা চালাতে আগ্রহী নয় বাফুফে। এমনটা জানিয়ে সালাম বলেন,‘বিদেশি রেফারি আনার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। বিদেশি রেফারিরা জানবে না কোনটা বড় বা ছোট দল। স্থানীয় রেফারিদের দিয়েই আমরা খেলা চালাব।’

ফেডারেশন কাপের মতো স্বাধীনতা কাপেও রেফারিং নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। দুই টুর্নামেন্টে রেফারিদের কিছু ভুল চোখে পড়েছে রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যানেরও। টুর্নামেন্ট দু’টির রেফারিং নিয়ে তার মূল্যায়ন, ‘আমরা প্রায়ই রেফারিদের ম্যাচ পর্যালোচনা করি। ফেডারেশন কাপের দু’টো সেমিফাইনালের ভিডিও দেখেছি। রেফারিদের ব্যাপারে আভ্যন্তরীণভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের দ্বিতীয় দাবি ছিল- খেলা চলাকালে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির কেউ ক্লাবের পরিচয়ে ডাগআউটে দাড়াতে পারবেন না। সাইফের দাবির বিষয়টি অন্য একটি ক্লাবের প্রতিনিধি কাল লিগ কমিটির সভায় উঠিয়েছিলেন। এই বিষয়ে অবশ্য কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ