পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের কয়েকটি রুম দখলের অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হল সংসদের সাবেক ভিপি সজিবুর রহমান সজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি হলের যমুনা ব্লকের ৯০০৩, ৯০০৪ ও ৯০০৮ নম্বর রুম জোরপূর্বক দখল করে সেখানে ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের তুলে দেন। একইসাথে হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হল সংসদের সাবেক এজিএস আবু ইউনুসের নেতৃত্বে পদ্মা ব্লকের ১১০০৩, ১১০১১ ও ১১০১৩ নম্বর রুম এবং হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে যমুনা ব্লকের ৪০০৭ ও পদ্মা ব্লকের ৪০০৩ নম্বর রুম জোরপূর্বক দখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগকারীরা জানান, রুমগুলোতে চারজনের জায়গায় ডাবলিং করে আটজন করে ও এর বাইরে দুই-তিন জন শিক্ষার্থী ফ্লোরিং করে থাকতো। ছাত্রলীগের নেতারা গত কয়েকদিন ধরে রুমগুলো দখলের চেষ্টা চালাতে থাকেন। তাদের অনুসারী দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে রুমগুলো দখল করে নেয়। রুমে আগে থেকে অবস্থানরত মাস্টার্সের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেয়, কয়েকজনকে বের হয়ে যেতে বলে এবং বাকীদেরকে অন্য রুমে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আবু ইউনুস বলেন, এর আগে যখন জুনিয়রদের রুম দেওয়া হয়েছিল এবং তারা রুমে উঠতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু তখন সিনিয়রদের পরীক্ষা থাকায় তারা রুমগুলো ছাড়েনি, যার কারণে তখন জুনিয়ররা উঠতে পারে নি। এখনো তারা জুনিয়রদের উঠতে দিচ্ছে না এবং জুনিয়ররা আমার কাছে আসলে আমি তাদের সাহায্য করি রুমে উঠাতে। এখানে রুম দখলের কোন বিষয় নেই আসলে। যাদের রুমগুলোতে উঠানো হয়েছে তাদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে কিনা প্রশ্নে আবু ইউনুস বলেন, তারা তাদের রুমেই উঠছে এবং আমাদের এখানে এক্সচেঞ্চ করার একটা নিয়ম আছে সে নিয়মেই তারা জুনিয়র সিনিয়র এক্সচেঞ্চ করে রুমে উঠছে। এদিকে হল সূত্রে জানা যায়, যে শিক্ষার্থীদের সেরুমগুলোতে উঠানো হয়েছে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত রুম সেগুলো না। এছাড়াও উল্লেখিত রুমগুলোতে শুধু তারই অনুসারিদের কীভাবে বরাদ্দ হয়েছে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি আবু ইউনুস। অপর অভিযুক্ত সজিবুর রহমান সজীবকে একাধীকবার কল দিয়েও যোগাযোগ করা যায়নি।
ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোনো রুম দখলের রাজনীতি করে না। শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির জন্য রাজনীতি করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সুতরাং সাংগঠনিক নীতিমালা বিরোধী কোনো কাজ যদি কেউ করে থাকে তাহলে তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রুম দখলের বিষয়ে কোনো শিক্ষার্থী যদি আমাদের কাছে অভিযোগ করে তাহলে সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিব। কিন্তু এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।
সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, এমন কোনো বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। আসলে আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখব। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কথা বলে, জোর করে দল ভারী করে না বলেও মন্তব্য করেন সাদ্দাম।
বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আবদুল বাছির বলেন, এ বিষয়টা সঠিক না। কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা হল প্রশাসন থেকে যাবে, শিক্ষার্থীদের থেকে না।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।